কমছে বিনিয়োগ, সুযোগ কমতে পারে বেসরকারি চাকরির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৭

কমছে বিনিয়োগ, সুযোগ কমতে পারে বেসরকারি চাকরির। প্রতীকী ছবি
বেসরকারি খাতে চাকরির সুযোগ দিন দিন কমে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ দশমিক ৫০ শতাংশের বেশি কমেছে।
এতে যেমন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে না, তেমনি আগের চাকরির বাজারও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। উদ্যোক্তাদের মতে, কর-কাঠামোসহ নীতিমালা ব্যবসা-বিরোধী। অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, চাহিদা অনুযায়ী বেসরকারি খাতের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য, দেশে বর্তমানে বেকার রয়েছে ২৫ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে উচ্চ শিক্ষা শেষ করা বেকার ৩১ শতাংশ বা প্রায় ৮ লাখ । অনেকেই বলছেন, চাকরির বাজার আর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
একজন বিশ্লেষকও বলছেন, এ অবস্থা থেকে বের হতে শ্রমবাজার অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লেখাপড়া শেষেও নিজের স্কিল বাড়াতে হবে। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমানে আবার বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমার চিত্রও দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য, গেল অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে জিডিপির ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ৬৭ শতাংশ কম। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন নতুন চাকরির সুযোগ।
বিকেএমইর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, করকাঠামো থেকে শুরু করে নীতিমালা ব্যবসা-বিরোধী। এছাড়া ব্যাংক খাতের দুর্দশায় বিনিয়োগ না বাড়ায় তৈরি হচ্ছে না নতুন নতুন কর্মসংস্থানের। কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ সৃষ্টিতে নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করা জরুরি।
দেশে ৭৮ শতাংশ তরুণই নিজের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন। মূলত সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য বছরের পর লড়াই করে হতাশ হয়ে বেসরকারি চাকরির পিছনে ছুটছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। ফলে নতুন বিনিয়োগ আসছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বিনিয়োগ না আসলে শিল্পখাতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে না। যা ভারী করবে নতুন করে বেকারত্বের বোঝা।