‘পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের চালান লাগাম-হীনভাবে পরীক্ষা ছাড়া খালাসের সুযোগ করে দিয়েছে’ শীর্ষক সংবাদের বিষয়ে দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাখ্যাসহ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ‘এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য এই যে, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে পাকিস্তান থেকে আগত আমদানিকৃত সব ধরনের পণ্যের চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষার আওতায় আনা হয়। পরবর্তী সময়ে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তান থেকে আগত সব আমদানিকৃত পণ্যের চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় কোনও ধরনের রাজস্ব ফাঁকি পরিলক্ষিত হয়নি বা নিষিদ্ধ কোনও পণ্য আমদানি হয়েছে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।’
রাজস্ব বোর্ডর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বপ্রেক্ষিতে কাস্টমস হাউস কর্তৃক উক্ত দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানানো হয়। তৎপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিষয়টি পর্যালোচনা পূর্বক কোনও নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার বিষয়টি সমতার এবং বর্তমান বাণিজ্য উদারীকরণ নীতির পরিপন্থী বিধায় জাতীয়ভাবে সব ক্ষেত্রেই উক্ত নিয়ন্ত্রণ রোহিত করে প্রত্যেক কাস্টমস হাউসকে তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পণ্যের ধরন, ব্যবসার প্রকৃতি, আমদানি কারকের ধরন এবং পূর্ববর্তী রেকর্ড বিবেচনায় নিজস্ব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় ঝুঁকি নিরূপণ ও তৎপরবর্তী বিধান মোতাবেক খালাস কার্যক্রম গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোনও দেশকে টার্গেট না করে বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা হয়েছে মাত্র, যা কোনও ক্রমেই কোনও পণ্য চালানকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া প্রতিটি পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষণ/স্ক্যানিং/আনস্টাফিং-এর সময় পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, যা বর্তমানে চলমান। এতে দেশের জন্য ক্ষতিকর কোনও পণ্য আসার কোনও সুযোগ নেই। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাস্তবভিত্তিক করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি কাস্টম হাউসকে তার নিজস্ব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় যৌক্তিকভাবে ঝুঁকি নিরূপণ পূর্বক কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh