নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দেশের চলমান পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে বড় সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিষয় মাথায় রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করে বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণে তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সূত্রগুলো বলেছে, পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাও রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত হতে পারে, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র। সেই সঙ্গে বোমা হামলার আশঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক খুদে বার্তায় বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে বলা হয়, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা থেকে আখাউড়ামুখী লং মার্চ কর্মসূচি ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় আখাউড়া সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের (এআইজি মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনার পর ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যায়। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে তৃতীয় পক্ষও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সারাদেশে ইসকনের মন্দিরগুলোতে নজরদারি চলছে। কারা এতে অর্থায়ন করছে তার একটি তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা এরই মধ্যে সেই তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে বাইরে থেকে কোনো অর্থায়ন হয় কি না তারও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh