সারা দেশে নদ-নদীর সংখ্যা এক হাজার ১৫৬টি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য যাচাইয়ের পর এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনে আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে তালিকা প্রকাশ করে নৌ মন্ত্রণালয়।
সেমিনারে জানানো হয়, স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দী পার হলেও নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসেবের সাথে নদী কমিশনের হিসাব এবং এই দুই সংস্থার সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মেলে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই মাসের মধ্যে নদীর সঠিক তালিকা প্রস্তুতের উদ্যোগ নেয়।
আগামী বাংলা নববর্ষের দিন নদী ও খালের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানায় নৌ মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে দুই উপদেষ্টা জানান, নদীর দখলদারদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে দূষণকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যে নদীগুলোর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, সেগুলোর যদি রেকর্ড থাকে তাহলে ডিসিদের বলব, যাচাই করে আমাদের পাঠিয়ে দিতে। নদীর সংখ্যাটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। পহেলা বৈশাখের মধ্যে নদীর সংখ্যার চূড়ান্ত তালিকা দিয়েই আমরা থেমে থাকব না। এরপর পর্যায়ক্রমে নদীর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, অবস্থাসহ অন্যান্য তথ্য সেই তালিকায় যুক্ত করা হবে। তালিকায় নদীর অফিশিয়াল নামের পাশাপাশি স্থানীয় নামও থাকবে।’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অসম্ভব রকমের নদী দূষণ হচ্ছে। এই দূষণ যে শুধু ব্যবসায়ীরা করছে তা নয়, নদীর ভেতরে অনেক ড্রেজার ও ছোট ছোট জাহাজ ডুবে আছে। এভাবে নদীগুলো মরে যাচ্ছে। এগুলো উদ্ধার করতে হবে। নইলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে চর পড়ে যাবে।’
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh