বনানীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ২ সেনাসদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪: পুলিশ

রাজধানীর বনানীতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় দুই সেনাসদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে মগবাজার এলাকায় ডাকাতি করার জন্য একটি দল বনানী এলাকায় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাতে ১৭ নম্বর সড়কের স্টার কাবাবের সামনে তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে এ সময় উপস্থিত থাকা আরও দুই সেনাসদস্যসহ তিনজন পালিয়ে গেছেন। গ্রেপ্তার দুই সেনাসদস্যকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য দুজনকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম জানাননি ওসি।

এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে সেনা আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক রয়েছেন। তার কাছে ক্যামেরা ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। ডাকাত দলের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বনানী থানার একটি টহল দল। এই দল স্টার কাবাবের সামনে জটলা দেখে এগিয়ে যায়। তারপর সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। আরও কয়েকজন পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পোশাক, জুতা, পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ডাকাতিতে ব্যবহার করা একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তালা ভাঙার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাসায় ও কার্যালয়ে ডাকাতি হয়। এ সময় সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরা ডাকাতরা নিজেদের যৌথ বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দেন। তারা ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট করেন বলে গৃহকর্তা ও পুলিশ সূত্র জানায়। 

এই ডাকাতির তদন্তে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে। ওই কর্মকর্তা র‍্যাব সদর দপ্তরের একটি শাখার প্রধান ছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসরে পাঠানো হয়। এ ছাড়া এই ডাকাতির ঘটনায় র‍্যাব ৪-এ কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের (নন-কমিশন্ড) নাম এসেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় বলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছিল।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh