সংস্কারের উদ্যোগে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, অন্তর্বর্তী সরকারের কেবল সেসব বিষয় নিয়েই আগানো উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সব বিষয়ে সব দলের ঐকমত্য ‘সম্ভব নয়’ বলে মত দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, সবাই যদি একমত হবে, তাহলে এত দলের দরকার নাই
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। এই বৈঠকটি হলো এমন দিনে, যেদিন অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশন তার প্রথম সভায় বসতে যাচ্ছে। আমীর খসরু বলেন, "নির্বাচন আগে-পরের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে বিষয়গুলো আমরা একমত হব, সেই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। ”বিভিন্ন পার্টির বিভিন্ন চিন্তা ও দর্শন রয়েছে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সবাই যদি মনে করে সব বিষয়ে সবার ঐকমত্য হবে তাহলে এত রাজনৈতিক দলের দরকার নাই।
“বাকশাল নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু আমরা তো আবার বাকশালেও ফিরে যেতে চাই না।” যেখানে ঐকমত্য হবে, সেখানে তাৎক্ষণিক সমাধান করা যাবে মত দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “যেখানে ঐকমত্য হবে না… আগামী দিনে নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে, ইশতেহার নিয়ে, চিন্তা নিয়ে জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যে সংসদ হবে সেখানে বাস্তবায়ন করবে।"
বেলা ১১ টায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আমীর খসরু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। জনগণ সমর্থিত সরকার ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারবে না’ ‘জনগণের মালিকানা’ ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন বলেও মন্তব্য করেন আমীর খসরু। জনগণের সমর্থিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে পারলে অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হবে। “দেশ অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এগুলো একটা পলিটিক্যাল উইং ছাড়া সমাধান করা কঠিন। এজন্য আলোচনায় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ডিসেম্বর ‘অনেক দেরি’ মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, “তারপরেও ডিসেম্বর 'কাট অফ টাইম' হিসেবে ধরে নিয়েছে সবাই। সবার ধারণা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকব।”অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ‘ফিরে আসেনি’ বলে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সেটা না আসলে, জনগণ সমর্থিত একটা সরকার ব্যতীত কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পুলিশ সাপোর্ট দিয়ে সেটা দাঁড়াতে পারবে না।” বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈদেশিক সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে আলোচনার কথা জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
সংস্কার নিয়ে যে আলোচনা, সে বিষয়ে খসরু বলেন, “যে বিষয়গুলো নিয়ে ঐকমত্য হবে, সে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। যে বিষয়গুলো ঐকমত্য হবে না, সেটি সাংবিধানিক হোক, নির্বাচনি হোক বা অন্য যে কোনো বিষয়ের হোক, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার। “তারা জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে, জনগণের মতামত নিয়ে এসে সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে, বিতর্ক হবে তারপর সংসদে পাস হবে। বৈঠকে আলোচনাটা এইভাবেই হয়েছে।” আগামী দিনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের কর্মপন্থা কী হবে তাও আলোচনায় উঠে আসে।
“বর্তমানে নির্বাচন ঘিরে, সংস্কার ঘিরে ইইউ সহযোগিতা করতে রাজি আছে। বিশেষ করে ইলেকশন প্রসেস থেকে শুরু করে যে প্রতিষ্ঠান ‘ভেঙে পড়েছে’, তা সংস্কার, পরিবর্তন… এগুলো সঠিক জায়গায় ফিরে আনার জন্য তারা এগিয়ে আসতে রাজি আছে", বলেন আমীর খসরু। সংস্কারের উদ্যোগে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, অন্তর্বর্তী সরকারের কেবল সেসব বিষয় নিয়েই আগানো উচিত বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সব বিষয়ে সব দলের ঐকমত্য ‘সম্ভব নয়’ বলে মত দিয়ে তিনি আরও বলেছেন, সবাই যদি একমত হবে, তাহলে এত দলের দরকার নাই
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। এই বৈঠকটি হলো এমন দিনে, যেদিন অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশন তার প্রথম সভায় বসতে যাচ্ছে।
আমীর খসরু বলেন, "নির্বাচন আগে-পরের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে বিষয়গুলো আমরা একমত হব, সেই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।”
বিভিন্ন পার্টির বিভিন্ন চিন্তা ও দর্শন রয়েছে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সবাই যদি মনে করে সব বিষয়ে সবার ঐকমত্য হবে তাহলে এত রাজনৈতিক দলের দরকার নাই।“বাকশাল নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু আমরা তো আবার বাকশালেও ফিরে যেতে চাই না।”
যেখানে ঐকমত্য হবে, সেখানে তাৎক্ষণিক সমাধান করা যাবে মত দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, “যেখানে ঐকমত্য হবে না… আগামী দিনে নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে, ইশতেহার নিয়ে, চিন্তা নিয়ে জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যে সংসদ হবে সেখানে বাস্তবায়ন করবে।"
বেলা ১১ টায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আমীর খসরু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
জনগণ সমর্থিত সরকার ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারবে না’ ‘জনগণের মালিকানা’ ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন বলেও মন্তব্য করেন আমীর খসরু। জনগণের সমর্থিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে পারলে অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হবে।
“দেশ অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এগুলো একটা পলিটিক্যাল উইং ছাড়া সমাধান করা কঠিন। এজন্য আলোচনায় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।"বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ডিসেম্বর ‘অনেক দেরি’ মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, “তারপরেও ডিসেম্বর 'কাট অফ টাইম' হিসেবে ধরে নিয়েছে সবাই। সবার ধারণা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকব।” অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ‘ফিরে আসেনি’ বলে মত দিয়ে তিনি বলেন, “সেটা না আসলে, জনগণ সমর্থিত একটা সরকার ব্যতীত কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পুলিশ সাপোর্ট দিয়ে সেটা দাঁড়াতে পারবে না।” বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈদেশিক সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে আলোচনার কথা জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। সংস্কার নিয়ে যে আলোচনা, সে বিষয়ে খসরু বলেন, “যে বিষয়গুলো নিয়ে ঐকমত্য হবে, সে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। যে বিষয়গুলো ঐকমত্য হবে না, সেটি সাংবিধানিক হোক, নির্বাচনি হোক বা অন্য যে কোনো বিষয়ের হোক, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার।
“তারা জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে, জনগণের মতামত নিয়ে এসে সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে, বিতর্ক হবে তারপর সংসদে পাস হবে। বৈঠকে আলোচনাটা এইভাবেই হয়েছে।”
আগামী দিনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের কর্মপন্থা কী হবে তাও আলোচনায় উঠে আসে। “বর্তমানে নির্বাচন ঘিরে, সংস্কার ঘিরে ইইউ সহযোগিতা করতে রাজি আছে। বিশেষ করে ইলেকশন প্রসেস থেকে শুরু করে যে প্রতিষ্ঠান ‘ভেঙে পড়েছে’, তা সংস্কার, পরিবর্তন… এগুলো সঠিক জায়গায় ফিরে আনার জন্য তারা এগিয়ে আসতে রাজি আছে", বলেন আমীর খসরু।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh