জিয়া হত্যাকাণ্ডের পেছনে কে!

‘কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না। দরজা ধাক্কার আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল। হকচকিয়ে দরজা খুলে দেখি একরাম ভাই সামনে দাঁড়িয়ে। হুদা সাহেব, নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, সার্কিট হাউস থেকে মিজান চৌধুরী ফোন করেছিল। বলল, আপনারা তাড়াতাড়ি সার্কিট হাউসে চলে আসেন।...সকাল প্রায় পৌনে ৬টার দিকে পৌঁছলাম সার্কিট হাউসে।...দ্বিতীয় গেটের সামনে পৌঁছাতে দেখা হলো আরিফ মঈনউদ্দিনের সঙ্গে। কী খবর আরিফ?...হুদা ভাই, The situation is very grave, পরিস্থিতি খুব গুরুতর। একটা ওয়্যারলেস ফোন হাতে নিয়ে আরিফের সঙ্গে কথা বলছিল একজন সাদা পোশাকধারী সিকিউরিটির লোক।...situation grave মানে কী? কী হয়েছে? কী রকম  Grave?... Grave মানে Gravest এর চেয়ে খারাপ তো আর কিছু হতে পারে না। বললেন দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি। Do you mean, he has been killed? ...উত্তরের অপেক্ষা না করেই জিজ্ঞাসা করলাম আমার মনে হয় আপনাদের এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত হবে। বললেন সিকিউরিটির লোকটি।...একটা নিস্তব্ধ, নিঝুম, ভৌতিক অট্টালিকার মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে সার্কিট হাউস। ভেতরে অন্ধকার। জনপ্রাণীর কোনো সাড়া নেই।’ 

ওপরের এই উদ্ধৃতি- শফিক রেহমান সম্পাদিত ‘রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান’ বইতে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার লেখা থেকে তুলে ধরা। ১৯৮১ সালের ২৯ মে নিজের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ মীমাংসা করতে চট্টগ্রাম সফরে যান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ৩০ মে ভোররাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা অফিসারের হাতে হত্যার শিকার হন তিনি। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে- এই ঘটনার পেছনে কারা? 

খুব দ্রুতই উত্তর সামনে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মঞ্জুর ছিলেন সেই সম্ভাবনা। পদাধিকার বলে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী তিনি। স্বাভাবিকভাবে ঘটনার বিষয়ে গোপন যেকোনো তথ্য তার কাছে থাকার কথা। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর সেনানিবাসে মঞ্জুরের তৎপরতা অনেকের মাঝেই সন্দেহের সৃষ্টি করে। কিন্তু মাত্র দুই দিন পর, ২ জুন হাটহাজারী থানা থেকে তুলে নিয়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে মাথায় গুলি করে হত্যার মধ্য দিয়ে সে সম্ভাবনার ইতি ঘটিয়ে দেওয়া হয়। মঞ্জুর আদালতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। নিদেনপক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। 

২০২২ সালের ৩০ মে বিবিসি বাংলা ‘জিয়াউর রহমান : হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের উদ্দেশ্য নিয়ে এখনো কেন প্রশ্ন উঠছে’ শিরোনামে বিশ্লেষণধর্মী একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড এবং ঘটনার ব্যাপারে সামরিক আদালতের বিচার নিয়ে গবেষণারত আনোয়ার কবিরের বরাতে বিবিসি বাংলা প্রতিবেদনটিতে ‘সেনাবাহিনীতে পাকিস্তান-প্রত্যাগত এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভের বিষয়টি হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে বড় কারণ ছিল’ বলে উল্লেখ করা হয়। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর ৩০ মে সকালে সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর রেজাউল করিম রেজাকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যেতে হয়েছিল। কারণ এ ব্যাপারে তার ওপর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নির্দেশ ছিল। আবার সকালেই সার্কিট হাউস থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরে তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব নিতেও বাধ্য করা হয়েছিল তাকে। বিবিসির প্রতিবেদনটিতে রেজা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানকে হত্যা এবং হত্যাকাণ্ডের পরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা- এমন পরিকল্পনার কোনো ইঙ্গিত চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ছিল না। হত্যাকাণ্ড এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে তার পরের ঘটনাপ্রবাহ কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এবং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলেছে। জিয়াউর রহমান অমুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তাদের বেশি সুযোগ-সুবিধা বা পদ-পদোন্নতি দিয়েছেন এবং পাকিস্তান থেকে ফেরত আসা জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। এ কারণে জেনারেল মঞ্জুর এবং কর্নেল মতিউর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এই ক্ষোভের বিষয়টি হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা পরবর্তী ঘটনাবলিতে প্রকাশ করেছিলেন।’ প্রতিবেদনে মেজর রেজার বরাতে আরো বলা হয়, ‘সেনাপ্রধানের পদ থেকে জেনারেল এরশাদকে অপসারণ করে জেনারেল মঞ্জুর বা অন্য কোনো মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হোক- এ রকমই চেয়েছিলেন বিদ্রোহে জড়িত সেনা কর্মকর্তারা। তাদের অনেকের কাছ থেকে এই তথ্য পেয়েছিলেন মেজর রেজা।’

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে যখনই কোনো অস্থিরতা দেখা দেয় তখন সেখানে মার্কিন সরকারের একটি নজরদারি থাকে। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর টালমাটাল সে সময়েও মার্কিন সরকার তৎপর ছিল। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ডি স্নাইডার আড়ালে থেকে পরিস্থিতির ওপর ঠিকই নজর রেখে যাচ্ছিলেন এবং টানা রিপোর্ট করেছিলেন ওয়াশিংটনে। মিজানুর রহমান খানের লেখা ‘মার্কিন দলিলে জিয়া ও মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড, এরশাদের পতন এবং বিএনপির জন্ম’ বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘দূতাবাসের মূল্যায়নে প্রতীয়মান হয় যে পরিস্থিতি অনুকূল না থাকার কারণে সামরিক বাহিনী জিয়া হত্যার পরপরই ক্ষমতা দখলে বিরত ছিল।

১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রদূত স্নাইডার বলেছিলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে যেসব খবর আমরা পেয়েছি, তাতে আমাদের কাছে এ রকম আর কোনো তথ্য নেই যে জেনারেল মঞ্জুরের সমর্থনে অন্য কোনো সামরিক ইউনিট ওই বিদ্রোহে অংশ নিচ্ছে বা তেমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’

পুরো সময়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে রহস্যময়। মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে তড়িঘড়ি মেরে ফেলার পেছনে অনেকেই এরশাদের ছায়া দেখতে পান। মঞ্জুরের মৃত্যুর ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এরশাদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে এরশাদের নির্দেশে কিছু সামরিক কর্মকর্তা মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে বিমানবাহিনীর তৎকালীন প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ও ১৬৪ ধারায় আদালতে এরশাদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন। মামলার বিচারকার্য চলমান অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই এরশাদ মারা যান। তার মৃত্যুর কারণে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি এরশাদের নাম আসামি তালিকা থেকে বাদ দেন আদালত।   

মিজানুর রহমান খান তার বইতে উল্লেখ করেছেন ‘জনপ্রিয় থাকতেও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সামরিক নেতৃত্ব কমবেশি সব সময় ভঙ্গুর ছিল। আর এই ভঙ্গুরত্বকে যিনি নানাভাবে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন, তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মার্কিন নথিগুলো সাক্ষ্য দিচ্ছে, ১৯৭৭ সাল থেকেই জিয়া-মঞ্জুর-মীর শওকত ও এরশাদের মধ্যে নানামাত্রিক দ্বৈরথ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। মঞ্জুর ও এরশাদের দূরত্ব মার্কিন দূতাবাস ১৯৭৮ সালের গোড়ায় জানতে পেরেছিল। অনুগত ও নিরাপদ ভেবে জিয়া এরশাদকে সেনাপ্রধান করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু জিয়া মন্ত্রিত্ব দিয়ে এরশাদকেও সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। তবে ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে যা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষাপট তৈরির বীজ নিহিত ছিল ‘আর্মি পলিটিকসেই।’ দুই বছর আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের মহাপরিচালক এম এ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, ‘জিয়ার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেলেই তার ওপর আঘাত আসতে পারে।’

...এমনকি একটি অভ্যুত্থানের আশঙ্কাও যে রয়েছে, সেটা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড টেলর স্নাইডার ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন ১৫ মে ১৯৮১, অর্থাৎ অভ্যুত্থানের ১৫ দিন আগে।

মিজানুর রহমান খান আরো উল্লেখ করেছেন, ‘...১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পরও আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন বিএনপি প্রশাসন ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তখন তা বিশ্বাস করেনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড টি স্নাইডার ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম বেতার থেকে প্রচারিত মঞ্জুরের ঘোষণা শুনতে পেয়েছি যে তিনি ভারতের সঙ্গে ১৯৭২ সালের মৈত্রী চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণা সত্ত্বেও কিংবা সম্ভবত এই কারণেও আমাদের বলা হয়েছে যে অনেক বাংলাদেশির সন্দেহ ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মঞ্জুরের অভ্যুত্থানচেষ্টাকে সমর্থন জুগিয়েছে।’

জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুব উল্লাহ সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেছেন, ‘জিয়া হত্যাকাণ্ড বড় রাজনৈতিক প্রস্তুতি নিয়ে করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। আন্দোলনটি ছিল গোলাম আজমকে দেশ থেকে বিতাড়নের জন্য। গোলাম আজম দেশে এসেছিলেন মায়ের অসুস্থতার জন্য, তারপর আর ফিরে যাননি- এ নিয়ে আন্দোলনের সূচনা। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবীদের সংগঠিত করে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী একটা মঞ্চ তৈরি করা হলো। সে মঞ্চে অনেকে গিয়েছেন, বক্তব্য দিয়েছেন- কেউ বুঝে দিয়েছেন, কেউ না বুঝে দিয়েছেন। এর পেছনে একটা গভীর আয়োজন ও রহস্য ছিল। এমন একটা বয়ান দেশব্যাপী তুলে ধরার চেষ্টা ছিল যে, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশবিরোধী। একইভাবে সামরিক বাহিনীতে প্রচারণা চালানো হলো, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের মধ্যে- ‘জিয়াউর রহমান আর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের প্রতি খেয়াল রাখছেন না, তাদের স্বার্থের প্রতি নজর রাখছেন না। তিনি পাকিস্তান ফেরত অফিসারদের স্বার্থের দিকে খেয়াল রাখছেন। এসব প্রচারণার ফলে এক ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, এই পরিবেশের মধ্য দিয়ে যে মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান তৈরি হলো সেটিকে পুঁজি করেই তাকে হত্যা করা হলো। কিন্তু এর পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর একটা পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনাটা ভারতীয় পত্রিকাই প্রকাশ করেছে, সম্ভবত ইন্ডিয়া টুডে। সেখানে একটা প্রতিবেদন বেরিয়েছিল এই রকম- ‘মোরারজি দেশাই যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন তার সঙ্গে ‘র’-এর একজন কর্মকর্তা দেখা করতে গিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা মোরার জি দেশাইকে রিপোর্ট করলেন- বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার একটা পরিকল্পনা ‘র’-এর মধ্যে রয়েছে। মোরারজি দেশাই এটা শুনে অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, এটা কী ধরনের কথা! প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমরা হত্যা করব! এটা কোন ধরনের রাজনীতি? তিনি তখনই এ প্রকল্প বন্ধ করে দেন। তারপর ইন্দিরা গান্ধী যখন আবার প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন তিনি আবারও এ প্রকল্প চালু করলেন। যেহেতু প্রকল্পটা ইন্দিরা গান্ধীর সময় চালু হয়েছিল, তাই সেটি আবার পুনর্বার চালু হয়। একদিকে রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরি করা হয় এবং আরেক দিকে ভেতরে ভেতরে পরিকল্পনা চলতে থাকে। এর মধ্য দিয়েই ৩০ মে ১৯৮১ সালে তাকে হত্যা করা হয়।

জিয়াউর রহমানকে যারা সরাসরি হত্যা করেছে, তাদের অনেকের নাম সামনে এলেও হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল পরিকল্পনা কার বা কারা এর পেছনে কাজ করেছে, সেটি আজও স্পষ্ট নয়। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। লেখক, গবেষক ও সাংবাদিকরা সে সময়ের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পাঠকের কাছে তা তুলে ধরেছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে মতামত ব্যক্ত করেননি কেউই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh