পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে কে কত টাকা দিয়েছে, জানতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:৫৮

ফাইল ছবি
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (সিএমএসএফ) ব্যাংকগুলো কত টাকা বা অবণ্টিত ও দাবিহীন লভ্যাংশ দিয়েছে তা জানতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল গঠন করেছে। এ তহবিলে ব্যাংকগুলো কত টাকা বা কী পরিমাণ অবণ্টিত ও দাবিহীন লভ্যাংশ দিয়েছে তা জানানোর জন্য আজকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ১ জুলাই পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল গঠনের গেজেট হয়। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিপুল পরিমাণ দাবিহীন ও অবণ্টিত অর্থ বিনিয়োগে আনতে এ তহবিল গঠন করা হয় বলে জানায় বিএসইসি।
সংস্থাটি এমন ধারণাও দিয়েছিল যে, দাবিহীন ও অবণ্টিত অর্থের পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা। তবে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এ তহবিলে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।
তহবিল গঠনের বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকারী বা গ্রাহকের অর্থ তিন বছরের বেশি সময় অদাবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা নতুন এ তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে।
তহবিলের অর্থ শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী কখনো যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে তার লভ্যাংশ দাবি করেন, তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে তা তহবিল থেকে নিষ্পত্তি করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তালিকাভুক্ত কোনো ব্যাংকের অবণ্টিত মুনাফা হলো- ওই লভ্যাংশ, যা পরিশোধ করার জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট বা চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার বরাবর ইস্যু করা হলেও সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারের কাছে ওই ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট বা চেক বা পে-অর্ডার পৌঁছানো যায়নি।
আর অদাবিকৃত লভ্যাংশের সংজ্ঞায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট বা চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারকে লভ্যাংশ পরিশোধ করার জন্য ইস্যু করার পর সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডার তা গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তা নগদে উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে জমা দেননি।