চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও প্রবৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি সুখবর দিতে পারেনি ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব জানায় সংস্থাটি।

কোভিডের ধকল এখনও ভোগাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে। সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থবছরের শুরুর দুমাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা। যার ফল আমদানি রপ্তানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে ধীরগতি।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি- তা উঠে এলো বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে। বলা হয়, চড়া মূল্যস্ফীতির হারে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। যার প্রভাব নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায়। সমস্যাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে জ্বালানির উচ্চ মূল্য। পরিস্থিতি সামলাতে সফল হয়নি নীতিসুদ হারে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। বেড়েছে খেলাপি ঋণ, রয়ে গেছে তারল্য সংকট।

অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা, অর্থনীতিবিদ নাজমুস খান ও বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা ও বৈশ্বিক খাতের চাপ। এসব চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে অর্থনীতির গতি ধীর করে দিতে পারে, যা ডেকে আনতে পারে মন্দা।

আর্থিক খাত নিয়ে এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সংকট রয়েছে, বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ নেয়া কমেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে।

বাংলাদেশের শ্রম বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ফাঁক রয়েছে উল্লেখ করা হয় বিশ্বব্যাংক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।

এতে বলা হয়, এটি একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার ‘মিস ম্যাচ’ আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh