দীর্ঘ বেশ কয়েকমাস ধরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেটে রয়েছেন সালমান খান। এর মধ্যে শনিবার রাতে ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন করে লরেন্সের টিম বার্তা দিয়েছে যে, বাবা সিদ্দিকিকে মারা হয়েছে কারণ তার সঙ্গে সালমানের খানের ভালো যোগাযোগ।

লরেন্স বিষ্ণোই জানাল 'যে যে সালমানকে সাহায্য করবে, তারা তৈরি থাকো'।

সেই বার্তাতে ওই ব্যক্তির কথাও উল্লেখ আছে, যে সালমানের খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল ও পরবর্তীতে জেলে সুইসাইড করেছে। সালমান খানের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, ‘সালমান খান, আমরা এটা চাইনি। তুমিই তোমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কারোর সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু সালমান খান, দাউদকে যে যে সাহায্য করবে, তারা তৈরি থাকো।'

এদিকে আজকের সমস্ত মিটিং ক্যানসেল করেছেন সালমান। মুম্বাই পুলিশের তরফে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

দশেরা উপলক্ষে সিদ্দিক যখন আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি গাড়ি থেকে তিনজন লোক বের হয়ে আসে। তারা একটি ৯.৯ এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি করে, যার মধ্যে একটি সিদ্দিকির বুকে আঘাত করে, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পূর্ব বান্দ্রায় বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে গুলি চালায় তিন জন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বাবা সিদ্দিকিকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, সিদ্দিকি প্রচুর রক্তপাত হয় এবং তাকে বাঁচানোর জন্য সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।