
মাত্র ২৭ বছর বয়সে বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী মিষ্টি মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরুতে তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে এই অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত কয়েক মাস ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। ইদানিং কিটো ডায়েট শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
মিষ্টির স্বজন ও চিকিৎসকদের দাবি, বিশেষ ওই ডায়েটের জেরেই কিডনি বিকল হয়ে শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
‘ম্যায় কৃষ্ণা হু’ ছবি দিয়ে ২০১৩ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন মিষ্টি। এরপর ‘লাইফ কি তো লগ গই’সহ বেশ কিছু ছবি ও মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। তেলেগু আর মালয়ালম সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।
২০১৪ সালে পর্নোগ্রাফিক সিডি রাখার অভিযোগে তাকে মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় তার বাবা ও ভাই গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্তি পান।
উল্লেখ্য, কিটো ডায়েট এক বিশেষ ধরনের ওজন কমানোর ডায়েট। শরীরবৃত্তীয় চাহিদা মেটাতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার (চাল, ভুট্টা, গম) পরিবর্তে ফ্যাট বা চর্বি ব্যবহার করার ফর্মুলা অনুসরণ করা হয়। কার্বোহাইড্রেট কম বা গ্রহণ না করার মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি হরমোন ইনসুলিনকে কমিয়ে ফেলাই কিটো ডায়েটের মূল উদ্দেশ্য। এই ইনসুলিন একদিকে যেমন শর্করা ভাঙে, অন্যদিকে চর্বি ও প্রোটিন জমাতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের অভাবে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে চর্বি শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহার হতে থাকে। কিন্তু শর্করা না থাকলে চর্বি শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহার হতে পারে না। ইনসুলিনের অভাবে কার্বোহাইড্রেট মেটাবোলিজম বন্ধ হয়ে গেলে চর্বি ভেঙে কিটো এসিড তৈরি করে, যা শরীরের জন্য ভয়াবহ একটি অবস্থা কিটো-এসিডোসিস সৃষ্টি করতে পারে। কিটো এসিডোসিসের কারণে মস্তিষ্ক, লিভার এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।