বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজের পর এবার সুকেশকাণ্ডে ফেঁসে যেতে পারেন ইন্ডাস্ট্রির ‘আইটেম গার্ল’ খ্যাত নোরা ফাতেহি।
সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে রীতিমতো দুই নায়িকার মধ্যে দ্বন্দ্বও তৈরি হয়েছিল। কারণ দুজনের সঙ্গেই বেশ সখ্যতা ছিল সুকেশ চন্দ্রশেখরের। তবে এতদিন মুখে কুলুপ আঁটলেও সম্প্রতি এসব কথা জানিয়েছেন সুকেশ নিজেই।
কয়েকদিন আগে নোরা ফাতেহি দাবি করেন, সুকেশের পক্ষ থেকে তার কাছে প্রেমের প্রস্তাব এসেছিল। এর বিনিময়ে বিলাসবহুল বাড়ি ও জৌলুসপূর্ণ জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতিও তাকে দেয়া হয়েছিল।
তবে নোরার এমন দাবি অস্বীকার করে নতুন বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের ধনকুবের সুকেশ চন্দ্রশেখর। যেখানে বলা হয়েছে, নোরার জন্য মরক্কোতে একটি বাড়ি কিনতে ইতোমধ্যেই বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সুকেশ বলেন, ‘নোরা বলছে, আমি তাকে একটি বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। কিন্তু মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় পরিবারের জন্য একটি বাড়ি কিনতে ইতোমধ্যেই সে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। এখন আইনের হাত থেকে বাঁচতে সে এই মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে।’
সুকেশ বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘নোরা দাবি করেছে, সে আমার কাছে কোনো গাড়ি চায়নি, কিংবা নিজের জন্য কোনো গাড়ি নেয়নি। এটি একটি ডাহা মিথ্যা। কারণ সে তার গাড়িটি বদলে নেওয়ার জন্য আমার পেছনে পড়েছিল। কারণ তার সিএলএ মডেলের গাড়িটা পুরনো হয়ে গিয়েছিল এবং সে কারণে আমিও নতুন গাড়ি কিনে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। এমনকি সে যে গাড়ি পছন্দ করেছে সেটাই আমি কিনে দিয়েছি। সব কিছুর স্ক্রিনশট ইডি’র কাছে আছে। এতে কোনো মিথ্যা নেই। অবশ্য আমি তাকে দিতে চেয়েছিলাম রেঞ্জ রোভার। কিন্তু ওই সময় গাড়িটি স্টকে ছিল না।
অন্যদিকে নোরাও নতুন গাড়ির জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল। তাই তাকে বিএমডব্লিউ এস সিরিজ দিয়েছিলাম। কারণ এই মডেল সে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে নোরা ফাতেহির। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট তথা ইডির পক্ষ থেকে নোরার জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। তার মধ্যেই নোরা-সুকেশের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ শোনা গেল।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh