মনোয়ারা মনুর ‘কবিতা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:১১

‘কবিতা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, নারী অধিকারকর্মী দিল মনোয়ারা মনুর ‘কবিতা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক প্রথম আলো’র সহযোগী সম্পাদক বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, সাবেক অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি কচি-কাঁচার মেলা অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু এবং এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
স্বাগত বক্তব্যে শামসুল হুদা বলেন, যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেই লেখাগুলো ৪৫-৪৬ বছর আগের। ৮০-৮১ সালে লেখাগুলো বিভিন্ন পত্রিকার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, এই বইটা প্রকাশ করতে গিয়ে আমি চমকৃত হয়েছি। তার লেখনির মধ্যে দিয়ে আদর্শ ও লক্ষ্য চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে, লেখনির মধ্যে দিয়েই তিনি স্পষ্ট করেছেন কোন পথে যেতে হবে। এটাই তার মুন্সিয়ানা।
অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ বলেন, স্বামী সবাই হয়। কিন্তু জীবনের চলার পথের সারথী সবাই হতে পারে না, প্রেরণার উৎস হতে পারে না। আমরা দেখি, স্ত্রীরা স্বামীর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য অনেক কিছুই করে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখেছি হুদা ভাই উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। মনু আপা কচিকাঁচার মেলার সাথে জড়িত হয়েছিল, খুব প্রাণবন্ত ছিল। সবাইকে একত্রিত রাখার নেতৃত্বেও গুণ ছিলো অসাধারণ। তার লেখাতেই নারী অধিকার, বৈষম্যের কথা উঠে আসতো।
নাসিমুন আরা হক মিনু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে বলেন, মনু একজন কবি, লেখক সর্বোপরি সমাজকর্মি ছিলেন। তার পরিবার এখানে সমবেত হয়েছি। কারণ তিনি সকলেই পরিবারের সদস্য হিসেবেই ভাবতেন। সকলকেই সহজেই আপন করে নিতেন। অনন্যা পত্রিকাকে একটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য মনুর অবদান ছিলেন ব্যাপক। তিনি শিশুদের জন্য অনেক কাজ করতেন। তাদের বিকাশের জন্য অনেক ভাবনা ছিলো।
কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, মনুকে যাতে আমরা ভুলে না যাই সে জন্য এ জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন আমাদের অনুপ্রাণিত করে। মনু যা করেছে তা বইতে আছে। অনন্যা পত্রিকাকে মনু জনপ্রিয় করতে অবদান রেখেছে। মনু তাদের পেছনে ঘুরে ঘুরে তথ্য বের করে তাদের জন্য অনন্যা পত্রিকায় লিখতেন। এভাবেই অনন্যাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। মনু সব সময় সকল কবি সম্পর্কে খোঁজ রাখতেন। প্রয়োজন পড়লেই সকলের পাশে দাঁড়াতেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে দিল মনোয়ার মনু অনিন্দ্য ফাউন্ডেশন।