
বাংলাদেশের উদ্ভিদ পরিচিতি বই। ফাইল ছবি
‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়া মাত্র’- এ কথা বলেন বিজ্ঞান সাধক স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।
প্রকৃতিতে মানবকুল বাঁচলে বৃক্ষকুলও বেঁচে থাকবে- এমনটিই ঘটার; কিন্তু মানব জাতি নিজ হাতে তার নিজের সাচ্ছন্দ্যের জন্য বৃক্ষ নিধনে অগ্রসর প্রতিনিয়ত, তাতে বৃক্ষ টিকবে কী করে? শত শত বছরে হাজারো বৃক্ষ প্রজাতি আমাদের চারপাশজুড়ে বেড়ে উঠেছে, আর তা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অনন্য ভূমিকাও রাখছে। আমরা জানি না এদের সঠিক পরিচয়, জানি না কোন বৃক্ষ কী উপকারে আসে। না জেনে না বুঝে বৃক্ষরাজির টিকে থাকার জন্য বিক্ষুব্ধ পৃথিবী তৈরিতে মত্ত সারাপৃথিবীর মানুষ।
একদিকে আধুনিকতা আর সভ্যতার দোহাই দিয়ে নব নব অবকাঠামো গড়তে তৎপর আমরা বন উজাড় করে, সেই আমরা মানুষই ফের পরিবেশ রক্ষার জন্য গড়ছি সংগঠন; মিছিল-সভা, সেমিনার- সিম্পোজিয়াম করছি। অথচ জানি না বাড়ির আঙিনায় বেড়ে ওঠা গাছটি কতটা উপকারী আমাদের প্রাণের জন্য। অসুস্থ হলে কোন বৃক্ষনির্যাস আমাদের শরীরকে সুস্থ করে তুলতে পারে, কোন বৃক্ষপাতা বা ফল পেটের অসুখ সারিয়ে তুলতে পারে? এসব কিছু জানার জন্য সকলের জানা উচিৎ বৃক্ষের নাম, বৃক্ষের প্রজাতি, বৈজ্ঞানিক নাম এবং গুণাগুণ। এসব বিষয়ে গবেষণা করে ড. আখতারুজ্জামান চৌধুরী রচনা করেছেন ‘বাংলাদেশের উদ্ভিদ পরিচিতি’ নামের সচিত্র একটি অ্যালবাম আকারের গ্রন্থ। মূল্যবান এ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ‘রেডিয়েন্ট পাবলিকেশন্স লিমিটেড’।
গ্রন্থটির সুবিন্যস্ত পৃষ্ঠায় রয়েছে মোট আড়াইশ বৃক্ষের রঙিন চিত্র। তথ্যতালিকায় রয়েছে প্রতিটি বৃক্ষের আঞ্চলিক নাম, ইংরেজি নাম, বৈজ্ঞানিক নাম, চেনার উপায়, সংরক্ষণের উপায়, দুর্লভ বৃক্ষের সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। বর্ণমালাক্রমানুসারে বৃক্ষের এ গ্রন্থটির প্রতিটি পৃষ্ঠা সুসজ্জিত হয়েছে। ম্যাট পেপারে ছাপা সচিত্র এই গ্রন্থটি এদেশের বৃক্ষ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী উদ্ভিদপ্রেমী, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের জন্য একটি আকর গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে। চমৎকার বাইন্ডিংয়ে ২৬২ পৃষ্ঠার তথ্যবহুল ‘বাংলাদেশের উদ্ভিদ পরিচিতি’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন- ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ।
- গ্রন্থকার: ড. আখতারুজ্জামান চৌধুরী
- সম্পাদনা: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
- প্রচ্ছদ: মামুন হোসাইন
- প্রকাশন: রেডিয়েন্ট পাবলিকেশন্স লিমিটেড
- প্রকাশকাল: এপ্রিল ২০২২
- দাম: ১৫০০ টাকা