Logo
×

Follow Us

বাজেট ২০২০-২১

নজিরবিহীন সংকটে গতানুগতিক বাজেট

Icon

হারুন-অর-রশিদ

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ১০:০৩

নজিরবিহীন সংকটে গতানুগতিক বাজেট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে স্বাস্থ্য, মানবজীবন, জীবিকা এবং অর্থনীতিতে নজিরবিহীন সংকট তৈরি হয়েছে। এই ভয়াবহ সংকটেরও মধ্যে গতানুগতিক ধাঁচের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। অস্বাভাবিক এক সময়েও স্বাভাবিক সময়ের মতো বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে নেই কোনো অভিনবত্ব ও সৃজনশীলতা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো এমনভাবে ঠিক করা হয়েছে, যেন করোনাভাইরাস হঠাৎ এসেছে আবার হঠাৎ চলে যাবে। বড় বাজেটে রাজস্ব আয়, বিনিয়োগ, জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা অবাস্তব এবং অর্জন অসম্ভব। অনেক তথ্য-উপাত্ত ও লক্ষ্যমাত্রা প্রশ্নবিদ্ধ। এমনটাই বলছেন শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কেমন হয়েছে, তা নিয়ে সাম্প্রতিক দেশকালে মতামত প্রকাশ করেছেন দেশের পাঁচ শীর্ষ অর্থনীতিবিদ।

বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কহীন বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এসব অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রার বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.২ শতাংশ। সরকার বলছে, চলতি বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৪ শতাংশ। বিভিন্ন সংস্থার মতে, এটি আরো কমে ২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে আসবে। সেই হিসাবে, এক বছরে অর্ধেকে নেমে এসে, পরের বছর কীভাবে তার দ্বিগুণ হবে? সুতরাং প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত হয়নি এবং তা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। 

তিনি আরো বলেন, চলতি বছর শেষে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতি হবে। এরপরও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আদায়েও সফলতা আসবে না। এনবিআর থেকেও বলা হয়েছে, টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে না। আমি তাদের সঙ্গে একমত। এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস। সুতরাং ভ্যাট ঘাটতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও আমদানিতে ধস; ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। আবার বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে। করোনাভাইরাসের প্রণোদনার টাকাও ব্যাংক দেবে। এত টাকা ব্যাংক কোথা থেকে দেবে। ব্যাংকিং খাত এরই মধ্যে তারল্য সংকটে আছে। বাজেটে সঞ্চয়পত্রের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। এটি ধরা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নানা শর্ত আরোপ করে কড়াকড়ি করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বিক্রি অনেক কম। আগামী অর্থবছরে ২০ হাজার কোটি টাকা বিক্রি হবে না এটিই স্বাভাবিক। আর তা না হলে বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর চাপ বাড়বে।

স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যেও তথাকথিত উন্নয়ন বাজেট

তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ সংকট প্রকাশ পেয়েছে। এখন স্বাস্থ্যসেবা ও মানবজীবন রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় কাজ। এই সংকটের মধ্যেও অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তা তথাকথিত উন্নয়ন ধাঁচের। সংকট মোকাবেলার কার্যকর কোনো নির্দেশনা নেই। সরকার যখন ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ দেশকে নিয়ে যাওয়ার দাবি করছে তখন আমরা দেখছি, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ভয়াবহ দুরবস্থা, ডাক্তার নার্সের অভাব, সরঞ্জাম নেই, বাজেট নেই, পর্যাপ্ত শয্যা নেই, অক্সিজেন ব্যবস্থা মহাদুর্বল, আইসিইউ হাতেগোনা।

তিনি আরো বলেন, সুরক্ষা-সামগ্রীর অভাবে ডাক্তার-নার্সসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন; আর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে, জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাস সংকটে কর্মহীন কয়েক কোটি মানুষকে খাদ্য জোগান না দেয়ায়, অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছে অসংখ্য মানুষ, লকডাউন অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এই বাজেটে রাষ্ট্রের দায়িত্বের কোনো প্রতিফলন নেই। উল্টো মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরো বৃদ্ধির বিভিন্ন প্রকল্পকেই অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প হিসেবে সরকার অব্যাহত রেখেছে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, উন্নয়নের কথা বলে সরকার শুধু সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প অব্যাহত রাখেনি; আরো তিন শতাধিক সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। অথচ আইলা, সিডর, বুলবুলের পর সাম্প্রতিক আম্ফান আবারো দেখিয়েছে বাংলাদেশ রক্ষায় সুন্দরবন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।

বাজেট জনবান্ধব হয়নি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দরিদ্ররা অসম্ভব দুরবস্থায় আছেন। প্রতিনিয়ত কাজ হারাচ্ছেন মানুষ। আয় কমে গিয়ে নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দারিদ্র্যের হার ইতোমধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। এতে আয়-বৈষম্য বাড়ছে। 

তিনি আরো বলেন, বাজেটে যে ‘নতুনত্ব, উদ্ভাবন ও অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রত্যাশা করেছিলাম তার কিছুই দেখতে পাইনি। ভেবেছিলাম বাজেটে নতুনত্ব থাকবে; ইনোভেটিভ কিছু থাকবে; অ্যাকশন প্ল্যান থাকবে- এ রকম বাজেট চেয়েছিলাম; কিন্তু সেটি হয়নি। আগে যেমন বাজেট ছিল, এখনো ঠিক তেমনই আছে। জিডিপি ধরা হয়েছে ৮.২ শতাংশ, এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? একটু কম হলে বা ৬-এর দিকে হলেও কিছুটা আশা থাকত। বেসরকারি খাতে কাজ না হলে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ নেই। শুধু দ্বিগুণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে; কিন্তু কোনো পথনির্দেশনা নেই। কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষার চরম বেহাল দশার সময়েও আমরা শুধু উন্নয়নের কথা বলছি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বেশিরভাগ অর্থ অপচয় হয়। এগুলো যথাযথভাবে মনিটরিং করা প্রয়োজন। বহুদিন থেকেই এ অবস্থা চলমান। এর ওপর করোনাভাইরাস এসে পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে কোনোভাবেই জনবান্ধব বলার সুযোগ নেই। এ বাজেট দিয়ে করোনাভাইরাস সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া ঠিক হয়নি

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। এখন মানুষকে ব্যাপকহারে প্রণোদনা দেয়ার দরকার ছিল। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। এ সময় কালো টাকা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার দরকার। অথচ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলো। আগেও দেয়া হয়েছিল; কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। তাই এই সুযোগ দেয়ার দরকার ছিল না। 

তিনি আরো বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ এক বছরে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২৫.৩ শতাংশ করা হয়েছে। বিনিয়োগকে চাঙা করার জন্য কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেয়া হলো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না। অবৈধভাবে উপার্জনকারীরা নিজেদের মুখোশ খুলবেন না। তাই তারা বিদেশে টাকা পাচারের চেষ্টা করেন, সেখানেই সম্পদ রাখা বেশি নিরাপদ মনে করেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি যে হারে বাড়ছে, সে হারে রাজস্ব আদায় বাড়ছে না। জিডিপি বাড়লে নতুন লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার কথা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। এসব বাড়লে তো শুল্ক-কর আদায় বেড়ে যাওয়ার কথা; কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। হতে পারে জিডিপির গণনা ভুল, নতুবা রাজস্ব ব্যবস্থা দুর্বল। ধরে নিলাম, রাজস্ব খাতের ব্যবস্থাপনা দুর্বল। প্রস্তাবিত বাজেটেও রাজস্ব খাতের বড় সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। তাই রাজস্ব আদায় অতীতের মতোই হবে। বাজেটের প্রস্তাবিত রাজস্ব উদ্যোগ দিয়ে চলমান করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন মেটানো যাবে না।

স্বাস্থ্য খাতে ৫ শতাংশ বরাদ্দে আটকে থাকলে হবে না

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ দুর্বলতা। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত খাতটি ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ব্যয় করে। সবচেয়ে কম ব্যয় করে আফগানিস্তান। জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দিতে সরকারি ব্যয়ের অনুপাত অনেক কম মাত্র ২৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭২ শতাংশ ব্যয় বহন করতে হয় নাগরিককে। করোনাভাইরাস দেখিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখনই এটি সুনির্দিষ্ট হওয়া দরকার, এই পরিস্থিতিতে কোনটি আমাদের অগ্রাধিকার, কোনটি নয়। প্রয়োজনে মেগাপ্রজেক্টও বাদ দেয়া যেতে পারে। আগামী বছরের জন্য স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তবে এই বরাদ্দ ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে থাকলে হবে না। সেটা বাড়াতে হবে এবং কীভাবে বাড়াব, সেটি ঠিক করতে হবে। প্রিভেনটিভ, প্রমোটিভ এবং কিউরেটিভ সব মিলে বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসেবা শুধু একটি খাত নয়, এটি একটি কৌশলগত বিষয়- এই উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ বাজেট বক্তৃতায় দেখিনি; কিন্তু এর খুব প্রয়োজন ছিল। বাজেট বক্তৃতায় সাধারণ একটি বক্তব্য এসেছে যে, কভিড-১৯ একটা ধাক্কা দিয়েছে। শুধু এতটুকুই। স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। আর ভবিষ্যতে এটি কোথায় দাঁড়াবে, তা আমরা বুঝতে পারছি না; কিন্তু এ নিয়ে কোনো অন্বেষণ নেই, বিশ্লেষণ নেই, বিশ্লেষণের দিকে মনোযোগও নেই। মনোযোগের অভাব, দক্ষতারও অভাব।

সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের আমূল সংস্কার দরকার। এ দফতরের কাজের অদক্ষতা, দুর্নীতি ও অপচয় আলোচিত বিষয়। কাগুজে পরিকল্পনার মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আটকে আছে। নানা ধরনের সভা হচ্ছে, কমিটি তৈরি হচ্ছে; কিন্তু পুরো বিষয়টিই কাগুজে প্রচেষ্টা। সেটি এই কভিডের সময় আরো মূর্ত হয়ে উঠল। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংকটে ধনী ও প্রভাবশালীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। এমনকি সাধারণ মানুষ সাধারণ রোগের চিকিৎসাও পাচ্ছেন না।

বাজেটে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, আগের বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো বরাদ্দ ছিল। এবার তা ২৯ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছে; কিন্তু বাড়তি এ টাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আসছে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রকল্প থেকে। এ দুটি প্রকল্প ব্যয় বাদ দিলে দেখা যাবে, বেড়েছে আসলে ১ হাজার ২২ কোটি টাকা। এর বাইরে ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটি কী কাজে কোথায় ব্যয় হবে, তার কোনো নির্দেশনা নেই।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫