
বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আজ সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবিল-২০২০ পাস হয়েছে।
এই প্রথম প্রস্তাবিত বাজেটে বড় কোনো ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা না দিয়েই অর্থ বিল জাতীয় সংসদে পাসের জন্য অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরবর্তীতে স্পিকার অর্থবিল ২০২০ জাতীয় সংসদে পাসের জন্য ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
অর্থবিল পাসের মধ্য দিয়ে নতুন বাজেটের কর প্রস্তাবগুলো কার্যকর হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জুন) পাস হবে নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেট। এটি কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে। বিলটি গত ১১ জুন উত্থাপন করা হয়।
মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব প্রত্যাহারের যে দাবি ছিল, তাতেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
তবে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিন বছর তা বাজারে রাখার যে শর্ত দেয়া হয়েছিল, তা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় সংসদের সরকারি ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অর্থবিলের বিভিন্ন অংশের সংশোধনী প্রস্তাব এনে বক্তব্য রাখেন। সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক, আবুল হাছান মাহমুদ আলী, আলী আশরাফ, মশিউর রহমান রাঙার অর্থবিলের ওপর আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে এগুলো ভোটে দিলে তাও কণ্ঠভোটে পাস হয়। তবে এসব সংশোধনীতে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো খাতে কোনো পরিবর্তন হবে না।
পাঁচদিন বিরতির পরেআজ স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের মুলতবী অধিবেশন শুরু হলে সরকারি এবং বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর আলোচনা করেন। পরবর্তীতে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।