
প্রতীকী ছবি
সংকটে নিমজ্জিত অর্থনীতি উদ্ধারের দাবিকে পাশ কাটিয়ে তৈরি করা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো উপেক্ষিত হয়েছে। কঠিন সময়ে অর্থমন্ত্রী সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেটটি ঘোষণা করেছেন তাতে বাস্তবতার অভাব এবং স্বস্তির চেয়ে চাপই বেশি। এমনকি যেখানে সংকট মোকাবিলার কোনো কৌশল নেই, বাস্তবায়নের পথনকশাও অস্পষ্ট।
বাজেটের আকার, বরাদ্দ, শুল্ক ও করের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। আর বাড়তি খরচের জাঁতাকল, জমি-ফ্ল্যাটের স্বপ্ন ও মাথাগোঁজার বাধা, ন্যূনতম করে চাপ, ভ্রমণ শখ-আহ্লাদ বাদসহ নানান বাধার বেষ্টনীতে থাকবে দেশের সাধারণ মানুষ। সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও তা অর্জনের কোনো সুস্পষ্ট কথা বাজেট বক্তৃতায় অনুপস্থিত।
বেশ কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকলেও আগামী অর্থবছরে এর টার্গেট দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। যা আদৌ সম্ভব কিনা সেটা আজ প্রশ্নের মুখে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা হচ্ছে উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপ। যা মোকাবিলায় বাজেটে কার্যকর তেমন কোনো পদক্ষেপই নেই।
সামনে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থে প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার কলমও প্রথমবারের মতো বাজেটবন্দি হলো। কলমের ওপরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কোটি মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে জড়িত দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর স্মার্ট বক্তব্যে কোনো শব্দ-বাক্যই স্থান পায়নি। যা সাধারণ এসব ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীকে চরমভাবে হতাশ করেছে। তবে সুযোগ দেওয়া সত্তে¡ও গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেননি বলে আক্ষেপ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
নিত্যদিনের খরচ বাড়বে
বাজারের তালিকায় পণ্য না বাড়লেও খরচ বাড়বে। মধ্যবিত্তের ঘরে অনিবার্য টিস্যু, পেপার টাওয়াল ইত্যাদির ওপর আড়াই শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। এখন ঘরে ঘরে প্লাস্টিকের থালা, বাটিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালির সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। দামও তুলনামূলক কম। কিন্তু নতুন বাজেটে প্লাস্টিকের থালা, বাটিসহ গৃহস্থালির পণ্যে ভ্যাট আড়াই শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে। একই সঙ্গে অ্যালুমিনিয়ামের বাসনকোসন, রান্নাঘরের সামগ্রীতেও একই হারে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। মধ্যবিত্তদের পরিবারের তৈজসপত্র কেনার খরচ বাড়বে। সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে আগের চেয়ে খরচ বাড়তে পারে। কারণ এই খাতে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে কলমের উৎপাদন পর্যায়ে কোনো ভ্যাট নেই। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় প্রথমবারের মতো কলমের ওপরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আবার শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশের দামও বাড়তে পারে।
করযোগ্য আয় না থাকলেও ৩৮ ধরনের সেবা নিতে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে, এমন প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। আপনার যদি টিআইএন নাম্বার থাকে, তাহলে সেটার সনদ নিতে এখন ২ হাজার টাকা গুনতে হবে। এটি পাস হলে সবচেয়ে বেশি ভুগবেন মধ্যবিত্তরা। ন্যূনতম করের নিয়মটি যদি সব টিআইএনধারীর ওপর প্রয়োগ করা হয়, তবে এক হাজার ২৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করবে এনবিআর।
মূল্যস্ফীতির চাপে যখন সঞ্চয় ভেঙে সংসার চালাচ্ছেন অনেক মধ্যবিত্ত, তখন এই কর তাদের জীবনযাত্রাকে আরও বেশি চাপে ফেলবে। শুধু সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগকারী নয়, ছোটখাটো ব্যবসায়ী, স্বল্প আয়ের সরকারি কর্মকর্তা, ক্রেডিট কার্ডধারী, উবার-পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং গাড়ি প্রদানকারী, অনলাইনে পণ্য বিক্রেতা এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর এমন করের খড়্গ এলো।
মোট রাজস্ব প্রাপ্তি
প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্ব আদায়। বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট রাজস্ব প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া এনবিআর-বহিভর্‚ত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৯ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির (এনটিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি ও অর্থায়ন
প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদান ব্যতীত সার্বিক ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এবং জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির হার ছিল জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি পূরণে আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা (দীর্ঘমেয়াদি ৮৬,৫৮০ কোটি টাকা ও স্বল্পমেয়াদি ৪৫,৮১৫ কোটি টাকা) এবং ব্যাংক-বহির্ভূত খাতের মধ্যে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রস্তাবিত বাজেটে নিট বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।
অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয়
প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে পরিচালনা ও অন্যান্য খাতে (অনুন্নয়ন) ব্যয় বাড়ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ৮২ হাজার কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছিল ৭৩,১৭৫ কোটি টাকা) এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭,২০০ কোটি টাকা), মূলধনী খাতে ৩৯ হাজার ৩৪ কোটি টাকা; খাদ্য হিসাবে ৫০২ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম খাতে ৮ হাজার ৪২০ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬,৫০১ কোটি টাকা)) ব্যয় করা হবে।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
জিডিপি ও বিনিয়োগ প্রাক্কলন থেকে যায়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। গত অর্থবছরেও সেটা সাত দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল। পরে এটাকে নামিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে সাত শতাংশ হবে। আমরা যদি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ, সরকারি বিনিয়োগ এবং জিডিপির রেশিও দেখি, হার দেখি, সেখানে ছয় দশমিক ৩ শতাংশ, সেটা ধরা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ।
এখানে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অংশ হিসেবে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ ২০২৩-২৪ অর্থবছর ধরা হয়েছে। আসলে ২০২২-২৩ অর্থবছর আমরা দেখেছি, যেটা ধরা হয়েছিল, তার চাইতে কম হয়েছে এ পর্যন্ত। আর সেটা ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। এখান থেকে কীভাবে এতটা জাম্প দিয়ে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে? এটি আমাদের কাছে উচ্চাকাঙ্ক্ষা মনে হচ্ছে।
আয়করের স্তর
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবনায় করমুক্ত আয়ের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘব হবে বিধায় করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হবেন। তবে অনেকেই নতুন দরিদ্র বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বৈষম্য নিরোধের কৌশল বাজেটে অনুপস্থিত। পক্ষপাতমূলক নীতিকাঠামো আয় ও সম্পদের বৈষম্য বাড়াচ্ছে। যে ধরনের কর আরোপ করা হয়েছে তাতে জীবনযাপন দুঃসহ হয়ে পড়বে।
বাজেট পর্যালোচনায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। এই কঠিন সময়ের এই বাজেটে কঠিন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা নেওয়া হয়নি। আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র পেতে করদাতাদের ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যা সাংঘর্ষিক, অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।
সংস্থাটির পর্যালোচনা, আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ ধরা হয়েছে। আবার ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগ বাড়িয়ে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনীতি যেভাবে চলছে, সে আলোকে এসব লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাকাক্সক্ষী বলে মনে হয়েছে। এসব অনুমিতির সঙ্গে বাস্তবতার আসলে কোনো মিল নেই উল্লেখ করেন ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, এসব লক্ষ্য অর্জন করা অনেক কঠিন হবে এবং শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে না বলে আমার ধারণা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমদ তার পর্যালোচনায় বলেন, উদ্ভাবনমূলক বাজেট নয়। নির্বাচনের বছরে এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়, হবেও না। এটাকে আমি বলব নির্বাচনমুখী জনতুষ্টির বাজেট, জনকল্যাণের নয়। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল ও সামনে দেশের জাতীয় নির্বাচন। এই সময়ে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলন করা হয়েছে এটা কখনোই অর্জন করা সম্ভব না। এটাকে উচ্চাভিলাষী বলব।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি। কীভাবে ৯ শতাংশ থেকে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে, তার কোনো নির্দেশনা নেই বলে মনে করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ও সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা বিরাজ করছে, বাজেটে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কোনো কথা বলেননি অর্থমন্ত্রী।
বিশেষ করে খেলাপি ঋণ নিয়ে কোনো কথাই বলা হয়নি বাজেট বক্তৃতায়। বাজেটে গরিব মানুষের সহায়তায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এ বরাদ্দ বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রথমত যারা সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় আসার কথা নয়, তারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। দ্বিতীয়ত যাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা, তারা অন্তর্ভুক্ত হন না। তৃতীয়ত সরাসরি বরাদ্দের তহবিল তছরুপ হয়। এই তিন ধরনের সমস্যা হবে।