
প্যারাসিটামলসহ ২৬ ধরনের ওষুধের কাঁচামাল রফতানিতে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। নতুন করোনাভাইরাস মহামারির আকার নিতে পারে শঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
প্যারাসিটামল ছাড়াও মেট্রোনিডাজল ও ভিটামিন বি-১ ও বি-১২ অ্যান্টিবায়োটিক রফতানিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রফতানি নিষিদ্ধ ২৬টি ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামালের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা ভারতের মোট রফতানির ১০ শতাংশ।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক। দেশটির ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ওষুধ তৈরির অ্যাকটিভ ফার্মাসিটিকাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) এর ৭০ শতাংশই আমদানি করে চীন থেকে। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনে কারখানা বন্ধ থাকায় বিশ্বে ওষুধ সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী জোট জানায়, আগামী ২-৩ মাসের মতো এপিআইর মজুত আছে।
ভারতের ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের প্রধান দিনেশ দুয়া বলেন, আগামী কয়েক মাস ওষুধের এসব উপাদানের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আর সেকারণেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল আরো জানানো হয়, দিল্লিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ছয়জনকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কোরোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। -ব্লুমবার্গ ও ডেইলি স্টার