টিকফায় জিএসপি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২০, ২২:৫৩

ছবি: পিআইডি
বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠকে পোশাকসহ বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার হ্রাস, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ঢাকায় শুরু হওয়া দুই দিনের টিকফা বৈঠকের প্রথম দিনে ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের (ইএসটিআর) প্রতিনিধি দল এ আশ্বাস দেয়।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টিকফা সভায় দু-দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়। বৈঠকে গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্জিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সরকারের রপ্তানিবান্ধব বাণিজ্য নীতি, বাজারনির্ভর অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও বেসরকারি অংশীজনের অংশগ্রহণকে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ'র দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ক্রিস্টোফার উইলসন ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।
এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন জানান, বাংলাদেশ টিকফার বর্তমান বৈঠকে জিএসপি সুবিধা বিবেচনার দাবি করলে ইউএসটিআর'র প্রতিনিধিদলের নেতা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ডব্লিউটিও'র বিধিবিধানের বিষয়ে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রদত্ত জিএসপির অনুরূপ ইবিএ সুবিধা পেয়ে আসছে বিবেচনায় ইউএসএ-কে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়। ইউএসএ প্রতিনিধিদলের নেতা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ্বাস দেন। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে হতে মেধাস্বত্ব (আইপিআর), ডিজিটাল ট্রেড (ক্রস বর্ডার ডেটা ফ্লো), টেকনোলজি ট্রান্সফার বিষয়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিধিবিধান ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
সভায় বাংলাদেশের লেবার পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব জানান, শ্রম আইনের আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও আইএলও নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে ২০১৮ সালে সংশোধিত লেবার আইনের প্রবিধানসমূহ সভায় অবহিত করা হয়। শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে কোর্ট স্থাপন, লেবার ইন্সপেকশন বিষয়েও অবহিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।