
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: ফাইল
রমজান মাসে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শুধু মুনাফা আর অর্থই কি সব? আপনারাও মানুষ, আপনাদেরও মরতে হবে একদিন।
আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চালকল মালিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চালের বাজারে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) সঙ্গে মিটিং করবেন। ডিসিরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে মিটিং করবেন। পরিষ্কার মনিটরিং রাখবেন। কোথায় অবৈধ মজুদ আছে সেটি দেখতে হবে। লাইসেন্স ছাড়াও মানুষ মজুদ করে; কিন্তু তাদের লাইসেন্সের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে মজুদ করতে হবে। সক্ষমতার বাইরে হলে সেটা অবৈধ মজুদ।
তিনি বলেন, আমদানি করলেই যে বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে তা আমি বিশ্বাস করি না। তার থেকে অনেক বেশি আমাদের দেশে মজুদ থেকে যায়। আমাদের যদি সৎ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে ১০ লাখ টন আমদানির জন্য ফরেন কারেন্সি নষ্ট করার কোনো দরকার ছিল না। তবে রাস্তা ওপেন থাকলে চালের দাম কম থাকে। আমরা ১০ লাখ টন আমদানি করলাম, আমি মনে করি আরও ২০-২৩ লাখ মেট্রিক টন মজুদ আছে। আমরা কৃত্রিম সংকট করে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলি। এটা কোনোভাবে বরদাস্ত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারিখাতে আমদানি হয়েছে মাত্র ৪ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিকটন। আমরা ৫ লাখ মেট্রিকটন চাল ও ৩ লাখ মেট্রিক টন ধানের টার্গেট করেছিলাম। সেই ৩ লাখের জায়গায় মাত্র ৪ হাজার প্রকিউরমেন্ট হয়েছে। চালও ৫ লাখ মেট্রিকটন প্রকিউরমেন্ট করতে পারিনি। এই ঘাটতি পূরণে আমদানি করেই পূরণ করতে হয়েছে। না হলে কিন্তু হাহাকার হতো, হাহাকার সৃষ্টি করা হতো।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারসহ ব্যবসায়ী নেতা ও খাদ্য কর্মকর্তারা।