বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ আসা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৫০

প্রতীকী ছবি
ভারতের আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসতে শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার
(৬ মার্চ) থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ নেয়া শুরু করে দেশের সরকারি সংস্থা একক পাইকারি
ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছরের
চুক্তিতে বিদ্যুৎ কিনছে পিডিবি।
আজ শুক্রবারও (৭
মার্চ) আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। গত দুদিনে গড়ে ঘণ্টাপ্রতি ৭২০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট
করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে আদানি। পিডিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৯ মার্চ থেকে
পরীক্ষামূলকভাবে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী এক টানা ৭২ ঘণ্টা
পূর্ণ সক্ষমতায় বা লোডে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখতে হয়। তারপর ঠিক হয় ওই
বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতা বা প্রকৃত ক্ষমতা কত। এরপরেই শুরু হয়
বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আদানি এই পরীক্ষার পরে গত বৃহস্পতিবার থেকে
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।
ভারতের ঝাড়খণ্ডের
গোড্ডা এলাকায় আদানি ১৪৯৮ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। এর
মধ্যে ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি এতদিন পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল।
এই ইউনিটের স্থাপিত বা প্রকৃত ক্ষমতা হলো ৭৪৯ মেগাওয়াট। আগামী জুনের মধ্যে দ্বিতীয়
ইউনিট উৎপাদনে আসার কথা। কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত
প্রায় ১০০ কিলোমিটারের একটি সঞ্চালন লাইন করা হয়েছে। কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ
বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে উঠবে, সেখান থেকে বিদ্যুৎ আসবে বগুড়াতে। বাংলাদেশ অংশে সঞ্চালনের দায়িত্বে রয়েছে
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
আদানির সঙ্গে
পিডিবির এই ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ
বিভাগ। যা নিয়ে সমালোচনা, তার মধ্যে রয়েছে
কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি ভাড়া, কয়লার দাম,
বিদ্যুৎ না কিনেও কয়লার
মূল্য পরিশোধসহ বেশ কিছু বিষয়।
আদানির
বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত ক্ষমতার অন্তত ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ সারা বছর বাংলাদেশকে
নিতেই হবে। এর কম বিদ্যুৎ নিলে ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যত কয়লা ব্যবহার করা হতো
তার পুরোটার দাম বাংলাদেশ আদানিকে দেবে। শুধু কয়লার দামই নয়, কয়লা পরিবহনের জাহাজ ভাড়া, বন্দরের ব্যয় ও কয়লা পরিবহনের অর্থও পাবে
আদানি।
আদানির কাছ থেকে চাহিদপত্রের (ডিমান্ড নোট) কম বিদ্যুৎ নিলে জরিমানা দিতে হবে পিডিবিকে। চাহিদার যতটুকু কম নেবে ততটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে কয়লার প্রয়োজন হতো সেই কয়লার দাম দিতে হবে পিডিবিবে।