Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

অর্থনীতির ঝুঁকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করল আইএমএফ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ১৭:০২

অর্থনীতির ঝুঁকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করল আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের লোগো ও বাংলাদেশের পতাকা। ছবি: গ্রাফিক্স

বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাই এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সংস্থাটি বলেছে, বিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যারা দ্রুত হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। তবে সামনে বাংলাদেশের জন্য তিনটি চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছে আইএমএফ। এর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ তিনটি হলো- ধারাবাহিক উচ্চমূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক আর্থিক খাতের অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি।

আইএমএফ মনে করছে, এসব কারণে দেশের প্রবৃদ্ধি, বিদেশি মুদ্রার মজুত ও স্থানীয় মুদ্রা টাকার ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে।

আইএমএফের স্টাফ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৭ মে রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেছে। সেই সফর শেষে মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের মাস মার্চে এই হার ছিল আরও বেশি ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিবৃতিতে রাহুল আনন্দ আরও বলেছেন, ‘এই সফরে আমরা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আইএমএফ–সমর্থিত কর্মসূচির মূল যেসব প্রতিশ্রুতি ছিল, সেগুলো কতটা পূরণ হলো, তার অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেছি। বর্ধিত ঋণসুবিধা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিলসুবিধা (ইএফএফ), রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) ব্যবস্থার প্রথম পর্যালোচনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা মূল্যায়ন করা হবে, যা এ বছরের শেষের দিকে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

সফরের সময় আইএমএফের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অন্য ঊর্ধ্বতন সরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। এ ছাড়া তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, দ্বিপক্ষীয় দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। এতে পরিমাণের কথা উল্লেখ ছিল না। পরে ১২ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

এরপর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই ঋণের প্রথম কিস্তি ইতেধ্যে ছাড় করা হয়েছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইএমএফের কর্মসূচি চালু থাকার কথা রয়েছে।

আইএমএফের ঋণের সঙ্গে দেয়া বেশ কিছু শর্ত বাংলাদেশ এরই মধ্যে পূরণ করেছে এবং আরও কিছু শর্ত পূরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে আইএমএফের শর্ত পূরণ নিয়ে দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনাও রয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫