আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে আকাশপথে ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে: বোয়িং
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১৮:২১
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানে বোয়িং এর এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের কমার্শিয়াল মার্কেটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেভ শাল্টে। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে আগামী এক দশকের মধ্যে আকাশপথে ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাণ সংস্থা বোয়িং। বোয়িংয়ের দাবি, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে আগামী দশকে প্রতি বছর প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে।
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, প্রসারিত অর্থনীতি এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির কারণে ভ্রমণের হার এই আকারে বাড়বে।’
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানায় বোয়িং। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন খাতে বোয়িং এর অঙ্গীকার ও অংশীজনদের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক অবহিতকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্বের অন্যতম উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আকাশপথে ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং সক্ষমতা বিষয়ক কমার্শিয়াল মার্কেট আউটলুক (সিএমও) প্রকাশ করেছে বোয়িং। এটি বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক আকাশপথের চাহিদা বিষয়ক একটি বার্ষিক পূর্বাভাস।
বোয়িং-এর পূর্বাভাস বলছে, ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি ৫ শতাংশের বেশি হারে বাড়বে, যা বৈশ্বিক জিডিপি প্রবিদ্ধির গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি। যাত্রী ভ্রমণ এবং এয়ার কার্গোর জোরালো চাহিদা মেটাতে, দক্ষিণ এশিয়ার বাহক বা ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে ২ হাজার ৩০০টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের প্রয়োজন হবে।
অনুষ্ঠানে বোয়িং এর এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের কমার্শিয়াল মার্কেটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেভ শাল্টে বলেন, ‘গত বছর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বছরে ১১ শতাংশ বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতে আঞ্চলিক ট্র্যাফিক বিবেচনায়, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে বলে আমরা মনে করি।’
শাল্টে আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দারুণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। যেখানে বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতের বিমানবহরের ৮০ শতাংশেরও বেশি প্রয়োজন হবে। আর বাকি ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে পুরানো অকার্যকর উড়োজাহাজ প্রতিস্থাপনের জন্য।’
শাল্টে আরও বলেন, ‘এই বাজারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজগুলো চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে উড়োজাহাজ বহরের সাদৃশ্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের এয়ারলাইনে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচালনার খরচ এবং ব্যয় কমায়।’
