
চিনি। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক
বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬
টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পরিশোধিত খোলা
চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১০৪ টাকা। প্যাকেটজাত পরিশোধিত
চিনির দাম কেজি প্রতি ১০৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১০
মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত
করেন।
সচিব বলেন,
চিনির জন্য শুল্ক কমানো
হয়েছে। কমানোর পরও দাম অতটা কমানো যাচ্ছে না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে ডলারের দামও। এ ছাড়া দেশের
মধ্যে পরিবহন খরচও কিছু বেড়ে গেছে। এর কারণেই দামে প্রভাব পড়ছে। তবে এ বিষয়টি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখছে।
চিনির জন্য যে
ট্যারিফ হার কমানো হয়েছে, সেটি ৩১ মে
পর্যন্ত বহাল আছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘ট্যারিফ হার আরও কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয়া হবে। কারণ, গত বছরের তুলনায় চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে।
এদিকে বাজারে
রমজানের আগে থেকেই আমদানির ক্ষেত্রে চিনির কিছুটা ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সচিব বলেন,
ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে হবে।
তবে চিনিবাহী কত জাহাজ দেশে এসেছে, সে বিষয়ে
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ
সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিনির দাম বাড়ানোর দাবি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড
ট্যারিফ কমিশন সুপারিশ করেছে বলে জানান তপন কান্তি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়েছে। সে
জন্য অ্যাসোসিয়েশন দাম বাড়ানোর দাবি করেছে।
তিনি আরও বলেন,
মন্ত্রণালয়ের অভিন্ন
নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন হিসাব করে দেখেছে, অ্যাসোসিয়েশনের দাবি অনুযায়ী দাম সমন্বয় করা
সম্ভব নয়। তবে খোলা চিনি ১০৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১০৯ টাকার জায়গায় সর্বোচ্চ
১২০ টাকা ও ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে বিপণন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নতুন এ দাম
কার্যকরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, গত সোমবার অ্যাসোসিয়েশনকে নতুন দাম সুপারিশ
করা হয়েছে। এখন অ্যাসোসিয়েশন নতুন দাম বাস্তবায়ন করবে কি না, সে বিষয়ে যোগাযোগ চলছে। এ দাম বাস্তবায়নে
মাঠপর্যায়ে কাজ করবে ভোক্তা অধিকার।