ছবি: বিজ্ঞপ্তি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া জীবন বীমা করপোরেশনের ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণজয়ন্তী-২০২৩’ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ মে) সকাল ১০টায় অতিথিবৃন্দ বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে সরকারের অতিরিক্ত সচিব করপোরেশনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মিজানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিরডাপ মিলনায়তনে সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। প্রধান অতিথির প্রতিনিধি হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ এ সভায় আলোচনা করেন।
জীবন বীমা করপোরেশনের দীর্ঘ পথচলার ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী, জেবিসি পরিচালনা বোর্ডের চেয়াম্যান মো. আসাদুল ইসলাম, জেবিসি পরিচালনা বোর্ডের সাবেক চেয়াম্যান ড. সোহরাব হোসেন, জেবিসি পরিচালনা বোর্ডের সাবেক চেয়াম্যান এবিএম আব্দুল হান্নান, করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পারভিন সিদ্দিকা।
আলোচনায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। নবায়ন প্রিমিয়াম ঝরার হার কমাতে হবে। বেসরকারী জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে দাবি পরিশোধের হার মাত্র ৬৬% ।
তবে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, জেবিসির দাবি পরিশোধের হার ৮৭%। তিনি এই হার আরো বাড়িয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানান।
বক্তারা জেবিসির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে তাদের বক্তব্য শেষ করেন। পরিশেষে সভাপতি অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেসহ আগত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আলোচনা শেষে ‘সুবর্ণজয়ন্তী-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর আবৃত্তি রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া, বৃহৎ একটি কেক কেটে জীবন বীমা করপোরেশনের ৫১তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়।