অপরিকল্পিত কারখানা নির্মাণ গ্যাস সংকটের কারণ: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ১৭:৪২

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
অপরিকল্পিত কারখানা নির্মানের কারণে গ্যাস সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে মন্তব্য করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রতিদিনই সরকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে, আবার প্রতিদিনই তারা সংযোগ নিয়ে নিচ্ছে।
একটা কূপ খনন করতে ৯-২৫ মিলিয়ন ডলার লাগে। তারপর আপনি গ্যাস নাও পেতে পারেন। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভোলা থেকে গ্যাস আনার চেষ্টা করছি। ওখানে পাইপলাইন নেই। চেষ্টা করছি অন্তত সিএনজি করে যাতে আনা যায়।
আজ শনিবার (২০ মে) রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ অন এনার্জি স্ট্র্যাটেজি : টুওয়ার্ডস আ প্রেডিক্টেবল ফিউচার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে আমদানিযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ হবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ঘনফুট। ২০৩০ সালে যা বেড়ে দাঁড়াবে ৫ থেকে ৬ হাজার ঘনফুটে। গত ১৩ বছরে গ্যাসের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। অন্তত ৩০০ কারখানা গ্যাস সংযোগ চাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৮ হাজার ঘনফুট গ্যাস আনলেও কাভার হবে না। ৭০০ থেকে ৮০০ ঘনফুট গ্যাস আমদানি করতে ৪ বিলিয়ন ডলার লাগবে। এই টাকাও একটা বড় অংক। টাকাটা কীভাবে আসবে, সেটাও আমাদের ভাবতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্যাস কীভাবে বাড়াতে পারি তা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা আছে। বিভিন্ন ইকোনমিক জোনে আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছি। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের লক্ষ্য ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন। এই চ্যালেঞ্জিং বাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এতে বড় ভূমিকা রাখবে।