
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দরপতনে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৩৪ ডলার। ছবি: সংগৃহীত
গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দরপতনে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৩৪ ডলার। গত সপ্তাহে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১১ ডলার। সপ্তাহ শেষ তা কমে এক হাজার ৯৭৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৩৩ দশমিক ৭৮ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বড় অঙ্কে কমলেও শেষ কার্যদিবসে বড় উত্থান হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৪ ডলার বা দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এদিকে, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম সমন্বয়ের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ১০০ ডলার কমে গেছে।
সে সময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ১৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা করা হয়। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৮৭৪ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে। আর ক্রেতাদের সোনার গহনা কিনতে এ দামের সঙ্গে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও ভরি প্রতি তিন হাজার ৪৯৯ টাকা মজুরি গুনতে হচ্ছে। ফলে এক ভরি সোনার গহনা কিনতে লাখ টাকার ওপরে খরচ হচ্ছে।
দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ার কয়েকদিন পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমে দুই হাজার ডলারের নিচে চলে আসে। তবে, চলতি মাসের শুরুতে দাম বাড়ায় ৪ মে প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৫৪ ডলার পর্যন্ত ওঠে।