
আট ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। ছবি: সংগৃহীত
চা শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে আট ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেয়া হবে।
সচিবালয়ে জাতীয় চা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ১ম ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদানের লক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটির সভায় আজ সোমবার (২২ মে) তিনি একথা বলেন।
যে আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে সেগুলো হলো- একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান, সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, বৈচিত্রময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (ব্যক্তি/শ্রমিক)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন তাদের স্ব স্ব কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। এসব প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন ও ব্যক্তির অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় চা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। গুণগতমানের চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা বাগান মালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে এবছর জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।