Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও বরাদ্দ চায় এফবিসিসিআই

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ২২:৪০

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও বরাদ্দ চায় এফবিসিসিআই

বাজেট নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

উৎপাদন সচল রাখতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

পাশাপাশি কল-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার (৩ জুন) এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড রুমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, শিল্পকারখানাগুলোতে যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়েছে, ততই উৎপাদন বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ও ভালো হয়েছে। তাই কলকারখানাগুলো ভালোভাবে পরিচালনায় গ্যাস-বিদ্যুতের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে এ খাতে আরও বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।

রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই বিশ্বব্যাপী বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত চাপের মুখে। এমতাবস্থায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তাই যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা অর্জনে বেগ পেতে হবে।

বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যকর করে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করা জরুরি। এই উদ্দেশ্যে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা দরকার।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মতামত জানাতে গিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনুৎপাদনশীল এবং অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমানোর পাশাপাশি বিলাসী ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের ব্যয়সংকোচন নীতি আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। সরকারি ব্যয় তদারকি করার জন্য আইএমইডি বিভাগকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমার কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় এনে ব্যক্তিশ্রেণির আয়করের সীমা বর্তমান ৩ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে ৩ লাখ করা হয়েছে। বর্তমান মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই করমুক্তসীমা ৪ লাখ টাকা করার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছিলাম। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করছি।

তৈরি পোশাক খাত নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে টেক্সটাইল, রপ্তানি খাত ও এসএমই খাতের জন্য তেমন কিছু দেখা যায়নি। টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে ম্যান মেড ফাইবার থেকে ভ্যাটসহ সব ধরনের কর প্রত্যাহার এবং রপ্তানির উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করার জন্য আবারও সুপারিশ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, হাবিব উল্লাহ ডন, অন্যান্য পরিচালক, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫