
প্রতীকী ছবি
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ রবিবার (১৮ জুন)। বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মুদ্রানীতি বিবৃতি উপস্থাপন করবেন।
আগের মুদ্রানীতিগুলোর তুলনায় নতুন মুদ্রানীতির কাঠামোগত পদক্ষেপে বড় ধরনের পরিবর্তন থাকছে। এ পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্যই হলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। সেইসঙ্গে সরকার নির্ধারিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দেওয়া। তবে এবারের মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বর্তমান গভর্নর যোগদানের পর এটি হবে দ্বিতীয় মুদ্রানীতি। আগের গভর্নর ফজলে কবির ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বছরে একবার মুদ্রানীতি ঘোষণা শুরু হয়। তবে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের কারণে এখন আবার দু’বার হচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান, প্রধান অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, মুদ্রানীতির কাঠামোতে পরিবর্তন এনে এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে চার ধরনের লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক মুদ্রানীতি প্রচলতি আছে। সুদহার, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা সরবরাহ এবং বিনিময় হার টার্গেটিং। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ‘মূল্যস্ফীতি টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছিল। তবে আইএমএফের পরামর্শে এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মুদ্রানীতি বা মুদ্রা ব্যবস্থাপনার অন্যতম লক্ষ্য থাকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেবে। আর এ জন্য ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার ১০ শতাংশের আশপাশে থাকবে। যদিও এটিকে বাজারভিত্তিক ব্যবস্থা বলা হবে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি নীতি সুদহার বাড়িয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ‘সতর্ক ও সংকুলানমুখী’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।