ব্যাংকের চেয়ে কার্ব মার্কেটে কম দামে মিলছে ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ১৭:৪০

প্রতীকী ছবি
দেশের খুচরা বাজারে (কার্ব মার্কেট) হঠাৎ করেই ডলারের দরপতন হয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য নেমে এসেছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়। যদিও এর বিপরীত চিত্র ব্যাংকে।
দেশের কোনো কোনো ব্যাংক আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারপ্রতি ১১৫-১১৬ টাকাও নিচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে দেশের বেশকিছু ব্যাংক ঋণপত্রের (এলসি) দায় পরিশোধেও ব্যর্থ হচ্ছে।
কার্ব মার্কেটে ব্যাংকের চেয়েও কম দামে ডলার বেচাকেনার ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতি বছরই হজের মৌসুমে দেশের কার্ব মার্কেটে ডলারের চাহিদা তীব্র হয়। এ চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ডলারের দাম। কিন্তু এবার কার্ব মার্কেটের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।
গত এক মাস দেশের মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের সরবরাহ বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় প্রতি ডলারের বিক্রয় মূল্য ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১১ টাকা।
যদিও গত বছরের অক্টোবরে কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার ১২০ টাকায়ও বেচাকেনা হয়েছিল।
দেশে ডলারের খুচরা বাজার বা কার্ব মার্কেট মূলত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। বর্তমানে দেশে ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স রয়েছে।
যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন সংস্থার অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি মানি এক্সচেঞ্জ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোর বড় একটি অংশ অবৈধ হুন্ডি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত। কিছু মানি এক্সচেঞ্জের নেটওয়ার্ক এতটাই বিস্তৃত যে বিশ্বের যেকোনো দেশে যেকোনো পরিমাণ ডলার মুহূর্তে সরবরাহ করতে পারে।
এদিকে ডলার সংকটসহ
বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ সোমবার (২৬ জুন) বৈঠকে বসছে বৈদেশিক মুদ্রা
লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)
ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। বৈঠক থেকে
সংগঠন দুটির নেতারা রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের ডলারের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে
জানা গেছে।