
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত
মূল্যস্ফীতি খুব একটা বাড়েনি-উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যতটুকু বেড়েছে, তাতে জনগণের কেউ না খেয়ে নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে জাপান সহযোগিতা সংস্থা- জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্ব মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। বাংলাদেশেও তা এখনো ১২ শতাংশের বেশি হয়নি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মানুষ কি না খেয়ে আছে? সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ১ লাখ পরিবারকে কম মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে দেশে গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর বছরের গড় মূল্যস্ফীতি ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে ৯ দশমিক ২ শতাংশে ঠেকেছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, অনেকেই দাম বৃদ্ধির ভয়ে বেশি করে কাঁচা মরিচ কিনে রাখছেন। ফলে নিত্যপণ্যটির দর বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে যে ভয় দেখা দিয়েছিল, তা আর নেই। অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে সমস্যা দেখা দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিকট থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সে পরিস্থিতি নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের এখানে কী? তারা যে ঋণ দিয়েছে, তা এই যে কয়েকজন আছেন এখানে, আমরা নিজেরাই শোধ দিতে পারব। আমরা কয়েকজন মিলেই (শোধ দিতে পারব)...। আইএমএফ নামটা অনেক বড়। কিন্তু কী দিয়েছে, জানেন? সেটা আমাদের দুই মাসের রেমিট্যান্সের পরিমাণ। দুই মাসের রেমিট্যান্স হলো তাদের কাছ থেকে পাওয়া আমাদের ঋণ।
তাহলে ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল কি- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা বুঝতে পারিনি। যুদ্ধ কতদিন থাকবে... যেভাবে আমাদের ঘাটতি পড়ছিল, আমরা যেসব জিনিস নিয়মিত ব্যবহার করি। তাতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা তো তখন এটা বুঝতে পারিনি।