বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এর ২৮ ধারা মোতাবেক বাজারে পরিচ্ছন্ন নোট প্রচলন করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। এই উদ্দেশ্যে পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সী ম্যানেজমেন্ট (ডিসিএম)-এর পরিচালক মোঃ মোকসুদুজ্জামানের সই করা এ সংক্রান্ত সার্কুলার সকল তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা অনুসারে, বাজারে নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচ্ছন্ন নোটের প্রচলন নিশ্চিত করতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সৃষ্ট বা ব্যবহারের কারণে ময়লাযুক্ত, ছেঁড়া-ফাটা, আগুনে ঝলসানো, ডাম্প, মরিচাযুক্ত, অধিক কালিযুক্ত, অধিক লেখাযুক্ত, স্বাক্ষরযুক্ত, বিভিন্ন খণ্ডে খণ্ডিত নোট প্রত্যাহার করা হবে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর ২৩(১) ধারা মোতাবেক বাজারে পরিচ্ছন্ন নোট প্রচলন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। ওই ধারায় উল্লেখ আছে- ব্যাংক ছেঁড়া, বিকৃত বা অত্যধিক নোংরা নোট পুনঃইস্যু করবে না।

এই উদ্দেশ্য অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে বিভিন্ন নীতি বা পদ্ধতি প্রণয়ন করে। ওই নীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী প্রচলনে থাকা পুরাতন, ধ্বংসযোগ্য ও অযোগ্য নোট যথাযথভাবে ধ্বংস করা হয় এবং নতুন নোটের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়।

এরপরও বাজারে অপ্রচলনযোগ্য ও ত্রুটিপূর্ণ নোট হিসেবে অধিক ময়লাযুক্ত, ছেঁড়া-ফাটা, আগুনে ঝলসানো, ডাম্প, মরিচাযুক্ত, অধিক কালিযুক্ত, অধিক লেখালেখি, স্বাক্ষরযুক্ত ও বিভিন্ন খণ্ডে খণ্ডিত নোটের আধিক্য দেখা যাচ্ছে।

তাই বাজারে থাকা ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা, গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং নোটের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতিতে উল্লেখিত নোট বাজার থেকে দ্রুত প্রত্যাহার ও ধ্বংস করে নতুন নোট প্রতিস্থাপনে পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।