
রড। ফাইল ছবি
নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজ কম এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমছে রডের। বর্ষা শুরু হওয়ায় সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পসহ সব নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলছে। যার প্রেক্ষিতে উৎপাদনকারীরা কমিয়েছেন রডের দাম।
আজ রবিববার (৬ আগস্ট) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার প্রতি টন রডের দাম ছিল সাড়ে ৯৯ হাজার টাকা। এটি আগে ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা।
অন্যদিকে, সরাসরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রড কেনা গেলে টনপ্রতি দাম ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা পড়বে বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, ইস্পাত তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আয়রণ আন্তর্জাতিক বাজারে এখন টনপ্রতি প্রায় ৪৩০ ডলারে পাওয়া যাচ্ছে। আগে এটি ছিল ৫৬০ ডলার। মাত্র ৪ মাস আগেও এমএস রডসহ অন্যান্য প্রধান নির্মাণসামগ্রীর দাম ঘন ঘন বাড়ছিল। এখন উন্নয়ন কাজে ধীরগতির কারণে অনেক শ্রমিককে কাজ হারাতে হচ্ছে।
ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় রডের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। গত মার্চে এমএস রডের দাম টনপ্রতি ১ লাখ টাকা ছাড়িয়েছিল।
তবে দামে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। কারণ, এলসি খোলায় বিধিনিষেধের কারণে রড উৎপাদনকারীরা কম দামে স্ক্র্যাপ আয়রন কিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আনোয়ার ইস্পাতের হেড অব মার্কেটিং আবু জুবাইদ মো. রাসেল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ লোহার চাহিদা কমে যাওয়ায় এর দাম কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে ইস্পাতের চাহিদা কিছুটা কমে যায়। এ সময় সরকারের উন্নয়ন কাজে ধীরগতিতে চলে। এ কারণে ইস্পাতের চাহিদা ও দাম কমেছে।’
ব্র্যান্ডভেদে মিলগেটে রডের দাম সাড়ে ৯৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৯৭ হাজার টাকার মধ্যে আছে বলেও জানান তিনি।
আবু জুবাইদ মো. রাসেল বলেন, ‘চাহিদা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ায় আগামী অক্টোবর পর্যন্ত রডের দাম কম থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ৪০ শতাংশেরও বেশি ইস্পাত কেনে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে উন্নয়ন ব্যয় কমে যাওয়ায় ইস্পাত ব্যবহারের ওপর এর প্রভাব পড়বে।’
তবে করোনা মহামারির সময়ের মতো রডের দাম খুব বেশি কমবে না বলে মনে করেন তিনি।