
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ফাইল ছবি
ডিমের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব না হলে অচিরেই ডিম আমদানির চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
ডিমসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে পণ্য মূল্য নজরদারি করা যায়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। শুধু জেল জরিমানা ও পুলিশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কোনো সমাধান নয়।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে ডিমের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব না হলে অচিরেই ডিম আমদানির চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। পরিবহন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে পারলে ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় সহজ হবে। তবে এক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় রেখে উন্মুক্ত আমদানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ আমাদের ভোজ্যতেল ৯০ শতাংশ, চিনি ৯৯ শতাংশসহ আদা, রসুন, পেঁয়াজ, ডাল ইত্যাদি আমদানি নির্ভর।
ব্যবসায়ীদের অতিলোভ পরিহার করতে হবে জানিয়ে সচিব বলেন, অসাধু কারবারি ও মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিলোভী হয়ে উঠলেই বাজার ব্যবস্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যবসায়ীরা লাভ করলে আমরা দেখি কিন্তু লোকসান করলে তা দেখি না। সরকার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নয়। তবে ব্যবসায়ীদেরও অতিলোভ পরিহার করে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে সমবায় শক্তি জোরদার করা গেলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে না। তখন তারা নিজেরাই নিজেদের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ করতে সমর্থ হবে। আমাদের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে, ভোগ আকাঙ্ক্ষাও বেড়েছে, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। তাই আমাদের কিছুটা সহ্য করে নিতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে।