
প্রতীকী ছবি।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আলু, বেগুন ও দেশি আদার দাম বেড়েছে। আর কমেছে টমেটো, কাঁচা মরিচ, শসাসহ কয়েকটি পণ্যের দাম। এ ছাড়া চাল, মাছ, মুরগি, ডিম, গরুর মাংস ও অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে মাছের দাম এখনো চড়া। রুই ও কাতলা মাছ কেজি ৩৫০-৪৫০ টাকা, মাঝারি ও বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮০০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় দেড় হাজার টাকার আশপাশে।
অন্যদিকে মুরগির মধ্যে ব্রয়লার ১৭০-১৮০, সোনালি ৩০০-৩৩০ ও দেশি প্রজাতির মুরগির কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা বিক্রি হয়। এ ছাড়া গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০, বকরি ৯০০ ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। বকরি ও খাসিতে ৫০ টাকা করে দাম কমেছে।
মসলা পণ্যের মধ্যে রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। দেশি রসুন কেজিতে ২২০-২৪০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২১০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো কম ছিলো। এ ছাড়া দেশি আদার দামও কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়েছে। আর পেঁয়াজের দাম আগে থেকে বাড়তি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত জুলাইয়ের শেষে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজি ৬০-৬৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো। সপ্তাহখানেক আগে সেই দাম বেড়ে দেশি ৮০-৯৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৫-৭৫ টাকা হয়।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৫০ টাকা ও ডজন ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তাতে প্রতিটি ডিমের দাম হয় সাড়ে ১২ টাকা। অবশ্য সম্প্রতি ডিমের ডজন ১৮০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হয়েছে।
আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। অন্যদিকে কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা এবং শসা, পটোল ও লাউয়ে ১০ টাকা করে দাম কমেছে।
ঢাকার বাজারগুলোয় চিকন চাল কেজি ৬০-৭৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫২-৬০ ও মোটা চাল ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।