Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

সংকট মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর চালু রেখেছে সাইফ পাওয়ারটেক

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২০, ১৮:০৫

সংকট মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর চালু রেখেছে সাইফ পাওয়ারটেক

মহামারি হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সারা দেশ ‘লকডাউন’ হলেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরগুলো চালু রাখা হয়েছে। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণাদি সরবরাহ করে বন্দরে কনটেইনার লোড-আনলোড স্বাভাবিক রাখছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।

ভয়াবহ করোনাভাইরাসের জেরে বিজিএমইএর পর গত শুক্রবার বিকেএমইএর আওতাধীন কারখানাগুলোও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ ঘোষণার পরে দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। তবুও বর্তমানে পোশাক খাতে ওভেন ও নিট মিলে মোট ২ হাজার ৭৮০ কারখানা চালু রয়েছে। এর মধ্যে ওভেন ২ হাজার ৮০টি এবং নিট ৭০০টি।

এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহায়তা ও আগামীতে বড় ধরনের সঙ্কট মোকাবিলায় বন্দর চালু রাখা হয়েছে। যদিও দেশের সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ অফিস আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) কনটেইনার লোড-আনলোড স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ উদ্যোগে সচল রেখেছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।

বন্দর চালু রাখতে কর্মীদের উত্তম স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে জানান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে বর্তমানে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। যে কারণে এনসিটি ও সিসিটির কর্মীদের নগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আনা-নেয়া করতে ৩টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়। একটি বাস চট্টগ্রামের কাঠগড়, একটি বহদ্দারহাট এবং অপরটি অলংকার থেকে শ্রমিকদের আনা-নেয়া করছে।’

‘কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও প্রয়োজনীয় উপকরণাদি সরবরাহ করেছি। আমাদের নিজস্ব চিকিৎসক সবার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ইয়ার্ডে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন। সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম শ্রমিকদের পরামর্শ ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ, শ্রমিকদের প্রণোদনাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এর ফলে আমাদের অধীন টার্মিনালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন অপারেশন চলছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আমি নিজেই চট্টগ্রাম বন্দরে আমাদের পুরো কার্যক্রম মনিটরিং করছি। আমাদের অধীন টার্মিনালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন অপারেশন চলছে।’

দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। মোট রপ্তানির ৫৩ শতাংশ আসে ইউরোপের জোটভুক্ত দেশ থেকে। অন্যদিকে একক দেশ হিসেবে ৪১ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাকিটা অন্যসব দেশ থেকে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। যে কারণে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাক শিল্প হুমকির মুখে।

তাই দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতি কাটাতে ও আমদানি-রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে চালু রাখা হয়েছে বলে জানান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫