
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি
উৎপাদন ভালো হওয়ায় এ বছর আর চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন বাজারে চালের দাম নিম্নগামী। অথচ অন্য বছরে এসময় দাম বাড়তির দিকে থাকে।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের কৃষিতে রূপান্তর: কাজী এম বদরুদ্দোজার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৩-২০০৪ সালে দেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা পর্যন্ত গেছে। অথচ এখন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামীতে কৃষি আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তাই বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় আশ্বিন-কার্তিক মাসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গা হতো। এখন অশ্বিন মাস চলছে। তারপরও চালের কোনো সংকট নেই। এমনকি এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি। আশা করছি এ বছর আর চাল আমদানি করতে হবে না এবং দামও স্থিতিশীল থাকবে।
কাজী বদরুদ্দোজার প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাজী বদরুদ্দোজা বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর শুরু করেছিলেন। তিনি এ দেশের সনাতন কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে গড়ে তুলেছিলেন, যা সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। তবে এ রূপান্তরের দ্বিতীয় অংশটি এখন বড় চ্যালেঞ্জের। ধান রোপণ থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত এখন যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে পাঁচ তারকা হোটেল হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কাজী বদরুদ্দোজা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল তৈরির অনুমোদন নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার বলেন, দেশে জমির পরিমাণ কমে আসছে তাই ভবিষ্যতের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে বিকল্প ব্যবস্থায় কীভাবে খাদ্য উৎপাদন করা যায় সেটি ভাবতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের আরও একটি সংকট। এ সংকট থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায় সেটা নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি।