বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে রপ্তানি হবে কাঁঠালের বার্গার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৫৭

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে রপ্তানি হবে কাঁঠালের বার্গার। ছবি: সংগৃহীত
দেশে প্রক্রিয়াকরণের পর কাঁঠালের বার্গার বিদেশে রপ্তানির জন্যও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের বার্গার উৎপাদন করতে যাচ্ছে সিডিআইপি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এদিকে বাংলাদেশ থেকে বার্গার নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে আইসল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
জানা গেছে, কাঁঠাল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হবে পুষ্টিগুণসম্পন্ন নিরাপদ চিপস, আচার, জেলি, নাগেটস, এমনকি বার্গার।
এসব পণ্যের বাজারজাতের উদ্যোগ নিয়েছে পিকেএসএফ। সিডিআইপি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে তারা উৎপাদন করাচ্ছে কাঁঠালের বার্গার। ইতোমধ্যে সেই বার্গার নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সুপারশপ আইসল্যান্ড।
পিকেএসএফ এজিএম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিদেশেও কাঁঠালের বার্গারের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। আইসল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান এই বার্গার ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য বড় সম্ভাবনা।
মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কাঁঠালের বাণিজ্যিকিকরণের চিন্তা নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে রপ্তানি খাতে। তবে এর আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে হলে গুণগতমান নিশ্চিতের ওপর জোর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সাপ্লাই চেইনস্পেশালিস্ট কৃষিবিদ মো. মজিবুল হক।
তিনি বলেন, কাঁঠাল দিয়ে তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে এই প্রথম কাঁঠালের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন, কমার্শিয়ালাইজেন এবং ভেল্যুঅ্যাডিশন, সর্বোপরি মার্কেট ডাইভারসিফিকেশন। এই উদ্যোগ আমার মনে হয় এই প্রথম হয়েছে। এখন উদ্যোক্তাকে দেখতে হবে মার্কেট পারসেপটিকে বেসিক্যালি গ্রাহকের যে চাহিদা, সেই অনুসারে প্রোডাক্টের প্যাকেজিং এবং ব্র্যান্ডিং করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানো গেলে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবেন, অন্যদিকে কর্মসংস্থান তৈরি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।