তিন মাসে ৫৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে পোশাক রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১৩

পোশাক শ্রমিক। ফাইল ছবি
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রপ্তানি ৫৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং ইতালিতে পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ২৩.২৬ শতাংশ, ৮.৬৭ শতাংশ, ১৮.৯৭ শতাংশ এবং ২৩.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে ২০২২-২০২৩ এর জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ ৪.৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক রপ্তানি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ২.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছিলো। একই সময়ে, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ২১.৩৫ শতাংশ এবং ৫.৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ১.৪৫ বিলিয়ন এবং ৩৫২.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে, অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২৪.৯৩ শতাংশ বেড়ে ২.২৪ বিলিয়ন মার্কিন হয়েছে।
এছাড়া অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৯.৪৪ শতাংশ, ৫৪.১১ শতাংশ এবং ৩৭.০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ভারতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ৭.৬৯ শতাংশ কমেছে।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি কমে আসছে। দেশটির ইন্টার্নাল অটেক্সা ডেটা অনুযায়ী আমরা এটা দেখতে পাচ্ছি। সেটার সঙ্গে আমাদের এই ডেটার কিছু প্রার্থক্য থাকবে। যখন ওরা ইমপোর্ট দেখাচ্ছে আমরা তখন এক্সপোর্ট দেখাচ্ছি একটা সময়ের ব্যবধান হচ্ছে। সেই হিসাবে তিন মাসে আমাদের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের কাছাকাছি দেখাচ্ছে। ওদের ওখানে দেখাচ্ছে মাইনাসের দিকে যাচ্ছে। তার মানে ধারাবাহিকতা বুঝা যাচ্ছে। একক দেশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আমরা অনেকখানি নির্ভর করি। তাই এই কমাটা আমাদের জন্য অবশ্যই চিন্তার কারণ। সব কিছু মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের বিক্রিটা আগের মত হচ্ছে না। যেহেতু একক বাজারে আমাদের রপ্তানি কমছে। সেখানে এই অপ্রচলিত বাজার আমাদের সাবসিডি দিয়ে আসছে।
সামগ্রিকভাবে আমাদের রপ্তানি অঙ্কের আকারে বাড়লেও কিন্তু আমাদের অর্ডার কমেছে। খরচ বেড়েছে, হাইভ্যালু রেট বেড়েছে, ইউটিলিটির রেট বেড়েছে। যে কারণে এই বাড়তি খরচটা দেখাচ্ছে। আসলে কোয়েনটিটিবেইজেড অর্ডার কমছে। আবার কখন মার্কেট স্বাভাবিক হবে আমরা সেই দিনের প্রত্যাশায় আছি। আমরা বিশ্বাস করি অবকাঠামোগতভাবে, প্রযুক্তি ও জনবলের দিক থেকে আমরা সব সময় রেডি আছি। যদি অর্ডার পাই আরও ভালো করার সামর্থ আমরা রাখি।