
ডিম। ছবি: সংগৃহীত
সরকারের বেঁধে দেওয়া প্রতি পিস ১২ টাকা মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন চত্বরে এই ট্রাকসেল (খোলা বাজারে) কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
ভোক্তা-অধিকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ কার্যক্রমে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। ঢাকার ১৬ থেকে ২০টি পয়েন্টে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ভোক্তা-অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ডিমের বাজার ঠিক রাখতে আমরা প্রতিটি গ্রুপের সঙ্গে মিটিং করেছি। প্রান্তিক খামারিরা এখনো ৮০ শতাংশ ডিম উৎপাদন করেন। কর্পোরেট গ্রুপ কন্ট্যাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছিল।
তিনি আরও বলেন, গত বছর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পর আমরা ধারণা করেছিলাম, এ বছর একটা সিস্টেমে চলবে। কিন্তু গত ৬ আগস্টের ১২ টাকার ডিম ৯ আগস্ট ১৫ টাকা হয়ে গেল। অর্থাৎ এ বছরও একইরকম কারসাজির নীলনকশা করা হয়েছিল। এরপর সারাদেশে ব্যাপকভাবে অভিযান করেছি। তখন আমরা সাড়ে ১২ টাকায় ডিমের দাম এনেছিলাম।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, প্রান্তিক খামারিদের ফিড থেকে শুরু করে সবকিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিনতে হয়। এ কারণেই তারা পোষাতে পারে না। গত বৃহস্পতিবার পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন জানাল তারা সরাসরি খামার থেকে ডিম এনে ১২ টাকায় বিক্রি করবে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলো।
এসময় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।