
প্রতীকী ছবি
এবছর নতুন আয়কর আইন চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৩০ নভেম্বরের পর রিটার্ন জমা না দিলে নানা ধরনের কর অব্যাহতি সুবিধা পাওয়া যাবে না। তখন বেড়ে যাবে করের পরিমাণ।
তবে রিটার্ন জমা দিতে গেলে আপনার আয়, বিনিয়োগ ও সম্পদের প্রমাণ হিসেবে নানা ধরনের ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এসব ডকুমেন্ট জোগাড় করার তাই এখনই সময়।
আয়কর রিটার্ন জমা দিতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
একজন ব্যবসায়ী বা পেশাজীবীকে প্রথমেই তাঁর আয়-ব্যয়ের বিবরণী দিতে হয়। আবার কত টাকা হাতে আছে, তা-ও জানাতে হয়। এ জন্য ব্যাংক হিসাবের বিবরণী সংগ্রহ করতে হবে। হিসাবটি অবশ্যই ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হতে হবে।
এরপর নজর দিতে হবে কোনো মূলধনী আয় আছে কি না। মূলধনী আয় বলতে বোঝায়, কোন ব্যক্তি যদি করবর্ষের মধ্যে (জুলাই-জুন) জমি, ফ্ল্যাট-প্লটের মতো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করে আয় করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দলিলের কপি সংগ্রহ করতে হবে। এ ছাড়া উৎসে কর কাটা হলে তার চালানের কপি রাখতে হবে। জমি বিক্রির সময় উৎসে কর কাটা হয়।
এছাড়া, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন থেকে মুনাফা হলে এ-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
আর্থিক পরিসম্পদ থেকে নানা ধরনের আয় করে থাকেন করদাতারা। এ আয়ের পক্ষ দলিলাদি জোগাড় করতে হবে। যেমন, সিকিউরিটিজ স্ক্রিপ্ট হলে তার কপি ও হিসাবের সমর্থনে বিবরণী; সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র; প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিভেঞ্চার কেনা হলে ঋণের সুদের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সনদ বা ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র; নগদ লভ্যাংশ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী; ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের কপি বা সার্টিফিকেট; সঞ্চয়পত্র থেকে মুনাফার আয় থাকলে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের সময় বা সুদপ্রাপ্তির সময় নেওয়া সার্টিফিকেটের কপি; ব্যাংক সুদ আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা সার্টিফিকেট। এর বাইরে অন্য কোনো উৎস থেকে আয় থাকলে এর পক্ষে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র লাগবে।
বর্তমানে প্রায় ৯০ লাখ টিআইএনধারী আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর ৩০ লাখের মতো নিজেদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত জানিয়ে রিটার্ন জমা দেন।