শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা দাবিতে স্মারকলিপি

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫১

স্মারকলিপি প্রদান করছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
বাংলাদেশ শ্রম আইন ১৩৯(২) ধারা অনুসারে কোনো নির্দিষ্ট শিল্প খাতের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে গঠিত মজুরি বোর্ডের সাধারণ মেয়াদ গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য গঠিত মজুরি বোর্ডের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত হলেও নতুন মজুরি ঘোষণা না করে সময়ক্ষেপণের কৌশল গ্রহণের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে সমমনা পাঁচটি সংগঠন।
আজ রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১২ টায়, নিম্নতম মজুরি বোর্ড ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি পালন করেছে এই পাঁচ সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-জীস্কপ, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল, গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চ এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় নিম্নতম মজুরি বোর্ড ঘেরাওয়ের পূর্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমিরুল হক আমিন, আহসান হাবিব বুলবুল, নাহিদুর হাসান নয়ন।
উপস্থিত ছিলেন এ্যালায়েন্সের শীর্ষ নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বজলুর রহমান বাবলু, রফিকুল ইসলাম সুজন, আব্দুল ওয়াহেদ, খালেকুজ্জামান লিপন, বাহরানে সুলতান বাহার, কামরুল হাসান, মরিয়ম আক্তার প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানতে পেরেছি যে, মজুরি বোর্ডে গার্মেন্টস মালিকদের প্রতিনিধি নাকি ২০১৮ সালের নির্ধারিত মজুরির চেয়ে মাত্র ২০ শতাংশ বর্ধিত মজুরি প্রস্তাব করবেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যদি সত্য হয় তা প্রমাণ করে গার্মেন্টস মালিকরা শিল্প মালিক পরিচয়ের পরিবর্তে দাস মালিক হিসাবে পরিচয়ের ঐতিহ্যধারণ করতে চান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি দাবি ছিল ১৮ হাজার। রাষ্ট্র শক্তির সহায়তায় শ্রমিকদের দাবিকে উপেক্ষা করে মাত্র ৮ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল। শ্রমিকদের সেই মজুরি ঘোষণার সময় ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য ছিল ৮৩ টাকা। এখন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় মূল্য সরকারিভাবেই ১১১ টাকা আর বেসরকারিভাবে ১১৯ টাকা। অর্থাৎ সরকারি হিসাবে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৪ শতাংশ আর খাদ্য পণ্যের মূল্য বেড়েছে গড়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ। বর্তমান মজুরিকে ২০১৮ এর মানে নিয়ে যেতেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি কমপক্ষে দ্বিগুণ করতে হবে। আর আমরা জানি বর্তমান মজুরি হার মানুষ্যচিত নয় তাই মজুরি ২৩ হাজার টাকার কম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ, মজুরি ঘোষণায় যেকোনো অপকৌশল গ্রহণ করলে মালিকপক্ষকে তার দায় বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।