Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

ইসরায়েল ও ইউক্রেনে যুদ্ধ

ফুলে-ফেঁপে উঠছে মার্কিন অস্ত্রের বাজার

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ২২:০৬

ফুলে-ফেঁপে উঠছে মার্কিন অস্ত্রের বাজার

যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

ইউক্রেনে যুদ্ধ ও হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে মার্কিন অস্ত্রের বাজারে বিক্রি বেড়েছে। বড় বড় প্রতিরক্ষা কোম্পানির নির্বাহীরা আশা করছেন ভবিষ্যতে অস্ত্রের চাহিদা আরও বাড়াবে।

রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকে মার্কিন বিভিন্ন প্রতিরক্ষা কোম্পানির দারুণ সুসময় চলছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে মস্কোর সম্ভাব্য আগ্রাসনের আশঙ্কায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ নিজেদের অস্ত্রে সজ্জিত করছে। যুক্তরাষ্ট্র যেসব সরঞ্জাম কিনছে, তার একটা অংশ পাঠানো হচ্ছে ইউক্রেনে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লকহিড মার্টিন, জেনারেল ডাইনামিকস ও অনান্য প্রতিরক্ষা ঠিকাদার কোম্পানি আশা করছে যে গোলন্দাজ বাহিনীর অস্ত্র ও মিসাইলবিধ্বংসী সরঞ্জামের যেসব ক্রয়াদেশ রয়েছে এবং আগামী দিনে সাঁজোয়া গাড়ির যে ক্রয়াদেশ আসবে, তাতে আগামী প্রান্তিকগুলোতে তাদের আর্থিক ফলাফল আরও ভালো হবে, অর্থাৎ লাভ বাড়বে।

ইউক্রেনে সরাসরি অস্ত্র সরঞ্জাম পাঠানো অথবা ইউক্রেনে মার্কিন অস্ত্রের ঘাটতি পূরণ করার লক্ষ্যে দেওয়া ক্রয়াদেশের চুক্তি গত বছরে স্বাক্ষর করা হয়েছে। ফলে বড় বড় প্রতিরক্ষা কোম্পানির জন্য অর্থ আসতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিনে লকহিড, জেনারেল ডাইনামিকস ও আরটিএক্স সবাই জানিয়েছে যে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আয় করেছে তারা।

জেনারেল ডাইনামিকসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জেসন আইকেন বুধবার ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকদের এক আলোচনায় বলেন, আমরা আগে প্রতি মাসে ১৪ হাজার আর্টিলারি গোলা তৈরি করতাম। সেখান থেকে আমরা দ্রুতই ২০ হাজার গোলার পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। এখন আমরা উৎপাদনক্ষমতা ৮৫ হাজার রাউন্ডে নিতে চাই। এমনকি মাসে এক লাখ রাউন্ডও হতে পারে।

জেসন আইকেন আরও বলেন, আমি মনে করি ইসরায়েলের পরিস্থিতি চাহিদা কেবল বাড়িয়েই তুলবে।

জেনারেল ডাইনামিকসের কমব্যাট সিস্টেমস ইউনিট ইউক্রেনে ব্যবহার হয় এমন সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও গোলাবারুদ তৈরি করে। এই ইউনিটের আয় এক বছর আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

আরটিএক্স আমরাম রকেট তৈরি করে, যা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকদের এক আলোচনায় ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে রাশিয়া হামলা চালানো শুরুর পর থেকে তারা ৩০০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। কোম্পানিটি আরও বিক্রির আদেশ পাবে বলে আশা করছে।

নরথ্রপ গ্রুম্যানের ডিফেন্স সিস্টেমস ইউনিটের তৃতীয় প্রান্তিকের বিক্রি ৬ শতাংশ বেড়েছে। গুলি ও গাইডেড মাল্টিপল-লঞ্চ রকেট ব্যবস্থায় ব্যবহার হয় এমন রকেট মোটরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের বিক্রি বাড়ে। রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে গাইডেড মাল্টিপল-লঞ্চ রকেট ব্যবস্থা খুব ভালো কাজ করছে।

বিশ্বজুড়েই অস্ত্র বিক্রি বাড়ছে। সুইডেনের সাব কোম্পানির অস্ত্র বিক্রি বাড়ার কারণে তারা তাদের পুরো বছরের বিক্রির পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে। জার্মানির রাইনমেটাল বলেছে, অস্ত্র ও গোলাবারুদের চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের মুনাফা বেড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০ অক্টোবর ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নতুন তহবিলের চাহিদা জানিয়েছেন। এই অর্থ দিয়ে যে অস্ত্র কেনা হবে, তা যাবে ইউক্রেন, ইসরায়েল, প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও সীমান্ত এলাকায় প্রতিরক্ষা জোরদার করার কাজে। বাইডেন উল্লেখ করেন যে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র আরিজোনায়, আর গোলন্দাজ বাহিনীর গোলাবারুদ দেশের ১২টি রাজ্যে তৈরি করা হয়। এসব রাজ্যের অন্যতম পেনসিলভানিয়া, ওহাইয়ো ও টেক্সাস।

সূত্র- রয়টার্স

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫