পোশাক শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণে স্বচ্ছতা চায় আইএলও

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৩০
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। ছবি- সংগৃহীত
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। এ কারণে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংস্থাটি।
তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পর গত বুধবার বিবৃতি দিল আইএলও।
বিবৃতিতে বলা হয়, আরও প্রাণহানি ও জীবিকার ক্ষতি এড়াতে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএলও। সংস্থাটি বলছে, ন্যূনতম মজুরি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গঠনমূলক সংলাপ ও আলোচনায় অংশ নিতে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি। এটি কেবল শ্রমিকদের যথাযথ জীবনযাত্রার মানের নিশ্চয়তা দেয় না, তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ের স্থায়িত্বকেও বিবেচনা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কাজকে স্বীকার করি এবং সব পক্ষকে সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করি এবং ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের উদ্বেগগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় মজুরি নীতি ও মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি প্রমাণ-ভিত্তিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠনকে আমরা স্বাগত জানাই।
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের জন্য গত এপ্রিলে ন্যুনতম মজুর বোর্ড গঠন করে সরকার। প্রথম ছয় মাসে তিনটি বৈঠক হলেও মালিক ও শ্রমিক-কোনো পক্ষ থেকেই মজুরি প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। গত ২২ অক্টোবর বোর্ডের সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব দেন। বিপরীতে মালিকপক্ষ প্রায় অর্ধেক বা ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরি প্রস্তাব দেয়।
তবে মালিকপক্ষের এই মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন পোশাকশ্রমিকেরা।