Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

বাস্তবসম্মত কারণে সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয়: বাণিজ্য সচিব

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৩৫

বাস্তবসম্মত কারণে সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয়: বাণিজ্য সচিব

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ছবি- সংগৃহীত

সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে যে তুমুল আলোচনা সামনে এসেছে, সেই সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয় বলে দাবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের। তিনি বলেন, বাস্তবসম্মত কারণেই অনেক কিছু করা যায় না।

আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীতে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ সংষ্কার বিষয়ে এক সেমিনারে এই কথা বলেন তিনি।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ- ডিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারটি হয় মতিঝিলে ব্যসায়ীদের সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ের মিলনায়তনে।

মূল্যস্ফীতির পেছনে বাজার কারসাজির যে অভিযোগ, সে প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্য সচিব বলেন, সিন্ডিকেট বন্ধ করা সহজ নয়, এটা অনেক বড় বিষয়। এসব নিয়েই বাজার চলে। বাস্তবসম্মত কারণেই অনেক কিছু করা যায় না।

তবে সিন্ডিকেট যেন মাথাচাড়া না দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবেও মন্তব্য করেন তিনি।

সেমিনারে কোম্পানি অবলুপ্ত ও একীভূতকরণে আইনি প্রক্রিয়া নির্ধারণসহ বিদ্যমান কোম্পানি আইন সংস্কার করে আধুনিকায়নে একগুচ্ছ প্রস্তাব উঠে আসে।

কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী অনেক বিষয়ই সমাধানযোগ্য না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। এতে সময় ও অর্থ খরচ হচ্ছে, বাড়ছে ব্যবসা পরিচালনার খরচ। আইন সংস্কার করলে তা দ্রুত ও সহজেই করে খরচ বাচানো সম্ভব।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) এবং মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করে নতুন আইনে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করেন রাশনা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত নয়, এমন কোম্পানিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বচ্ছতা আনতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, সব কোম্পানির বেলাতেই কোম্পানি সচিব নিয়োগ, তার কাজের পরিধি নির্ণয় করে দেয়া যেতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫