ডিম। ফাইল ছবি
আবারও ডিমের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত চারদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে পাইকারিতে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, শিগগিরই দেশে আনা হবে আরও ভারতীয় ডিম। সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান।
ডিমের বাজারে দামের লাগাম টানতে ভারত থেকে নভেম্বরে শুরু হয় আমদানি কার্যক্রম। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি আর আমদানি শুরু হলে দাম কমতে শুরু করে। তবে তা বেশিদিন টেকসই হয়নি। বরং সিন্ডিকেটের কাছে আবারও ধরাশায়ী বাজার। এ সপ্তাহের শুরু থেকে আবারও শুরু হয় দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র একটি করেছে আমদানি। মাত্র ৬২ হাজার পিস ডিম বাজারে এসেছে। বর্তমানে খুচরায় ১০ টাকা বিক্রি হওয়া ডিমের পাইকারি দর ৯ টাকা। যা গেলো সপ্তাহে ছিলো সাড়ে ৮ টাকার মতো। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারণ ছাড়াই ডিমের দাম বাড়াচ্ছে আড়ৎদাররা। আর সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আবারও খুচরা পর্যায়ে চলছে দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা।
খুচরা ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে ডিমের দাম ছিল ৮ টাকা। আর এখন ৯ টাকা ২০ পয়সা। যখন ডিমের দাম বাড়ে তখন আমাদের ব্যবসা হয় না। বর্তমানে আমরা যেখান থেকে পাইকারি ডিম নিয়ে আসি সেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে বলা হয় সিন্ডিকেট বেশি দাম দিয়ে ডিম নিয়ে আসলে আমরা কি করব। আপনারও বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হবে।
অন্যদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে নতুন করে দেশে আসবে আরও দুই লাখ পিসের বেশি ভারতীয় ডিম। আমদানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানও।
বিডিএস করপোরেশন স্বত্বাধিকারী দিপংকর সরকার বলেন, ডিমের যে দামটা বেড়েছে সেটা খুচরা পর্যায়ে বাড়তে বাড়তে আমাদের ডিম চলে আসবে। আমার জানা মতে, ইতোমধ্যে দুই থেকে তিনজন আমদানীকারক এল. সি. করে রেখেছে। যখনই ডিমের বাজার অস্থির হবে তখনই তারা ডিম এনে ডিমের বাজার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবে।