
বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
গত জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং খাতে আরও বেড়েছে ঝুঁকির মাত্রা। এই তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ, সুদহার, বিনিময় হারজনিত ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর সার্বিক মূলধন কমেছে। তবে ঋণের স্থিতি বাড়ায় ব্যাংকগুলোর সম্পদ বেড়েছে। খেলাপি ঋণ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এখন মোট খেলাপি ঋণের ৪৫ শতাংশের বেশি রয়েছে শীর্ষ ৫ ব্যাংকের কাছে।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতি তিন মাস পরপর এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছরের জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সোমবার।
প্রায় সাত মাস পর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আগে এ প্রতিবেদন ২ থেকে তিন মাস পরই প্রকাশ করা হতো। ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকির প্রবণতা বাড়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব প্রতিবেদন দেরিতে প্রকাশ করছে।
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ব্যাংক খাতে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সূচক ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি নিরূপণ করে। কোন সূচকে কী পরিমাণ ঘাটতি বা উদ্বৃত্ত হলে ব্যাংকগুলো ঝুঁকিতে পড়বে তা নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে আগাম সতর্ক করে।