
‘বাংলাদেশ-ইউএস বিজনেস কাউন্সিল’ এর প্রেসিডেন্ট অতুল কেশাপ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সফর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিজনেস ডেলিগেশন টিম। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে এডভোকেসি করা ‘বাংলাদেশ-ইউএস বিজনেস কাউন্সিল’ এর প্রেসিডেন্ট অতুল কেশাপ। তার সঙ্গে রয়েছেন কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহীরা।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উচ্চ নির্বাহী প্রতিনিধি দল আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
চার দিনের সফরে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তাদের বৈঠক রয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সম্মানে একাধিক ডিনার হোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ হবে।
২০২১ সালে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিজনেস কাউন্সিল গঠিত হয়। সেই থেকে মার্কিন উদ্যোক্তাদের কাছে এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরতে কাউন্সিল কাজ করছে।
ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের অধীন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (ইউএসবিবিসি) বর্তমান প্রেসিডেন্ট অতুল কেশাপ গত বছরের এপ্রিলে দায়িত্ব নেয়ার পর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসেছিলেন। তবে তার আগে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি বহুবার বাংলাদেশ সফর করেছেন।
গত বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওয়াশিংটনে স্বাগত জানান কেশাপ। সেখানে ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা’ শীর্ষক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও স্মার্ট প্রবৃদ্ধি নিয়ে একটি আলোচনা হয়। ইউএস চেম্বারের রেকর্ড মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল উদ্বোধন করেন। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক করিডর এবং যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সের আন্তর্জাতিক শাখার অধীন দ্রুত বর্ধনশীল অন্যতম দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক কাউন্সিল। ইউএসবিবিসি’র কার্যক্রম বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ডিজিটাল অর্থনীতি, আর্থিক পরিষেবা ও ডিজিটাল লেনদেন, বীমা, স্বাস্থ্যসেবা, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা, রাইড শেয়ারিং, খাদ্য ও পানীয়, জল এবং টেকসই বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত। অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কূটনীতিক অতুল কেশাপ ২৮ বছর স্টেট ডিপার্টমেন্টে কাজ করছেন। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারার কারণে সৃষ্ট বিশাল সুযোগের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংযোগ করতে সহায়তা করছেন।