ইসলামী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি
বাংলাদেশ ব্যাংক ও নাবিল গ্রুপকে দুদকের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪৮

ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নাবিল গ্রুপের ১১টি কোম্পানিকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফাইল ছবি
ইসলামী ব্যাংকের আলোচিত তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নাবিল গ্রুপের ১১টি কোম্পানিকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) ২০২২ সালের ডিসেম্বরের আলোচিত সেই ঋণ কেলেঙ্কারির তথ্য জানতে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ২০২২ সালে ব্যাংকটির চট্টগ্রামের তিনটি শাখার মাধ্যমে বিতরণ করা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেনামি ঋণের খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্ট এবং মুরাদ এন্টারপ্রাইজকে এ ঋণ দেওয়া হয়। তবে ঋণের নথিপত্রে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ ছাড়াও নাবিল গ্রুপের ১১টি কোম্পানির নামে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে দুদক। দুদকের তদন্তে নাবিল গ্রুপের পিওন ও বেশ কয়েকজন কর্মচারীর নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠান বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংকের ছাড়কৃত ঋণের বিপরীতে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সরেজমিনে অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনের সময় পর্যন্ত তিন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে দুই হাজার ৬১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা আগের দায় সমন্বয় করা হয় এবং ঋণ সমন্বয় করতে পে-অর্ডার ইস্যুর মাধ্যমে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকের এমডির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্ট, জুবিলী রোড শাখা থেকে ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ও চাক্তাই শাখা থেকে মুরাদ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নির্বাহী কমিটির ১৯৫৯তম সভায় বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে। এসব বিনিয়োগের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিক্রম করায় বকেয়া স্থিতি অবিলম্বে ১৫ দিনের মধ্যে আদায় করতে হবে। আর আদায় করতে না পারলে ক্ষতিজনক, মানে খেলাপি করে জানাতে হবে। পাশাপাশি এই বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ, অনুমোদন ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতেও ওই চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।